গৃহকর্মী নির্যাতন ও মজুরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ মিশনের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলামের আটকের ঘটনায় বাংলাদেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
ঢাকাস্থ মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাপেয়ার্স জোয়েল রিফম্যানকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়। বলা হয়, ১৩ মাস আগের একটি ঘটনায় একজন কূটনীতিককে এভাবে গ্রেপ্তার করা যায় না। আমেরিকা ডেস্কের মহাপরিচালক আবিদা ইসলাম কিছুক্ষণ আগে ভয়েস অব আমেরিকার এ সংবাদদাতাকে বলেন, ইয়েস, আমরা তাদের ডেকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
সোমবার সকালে জ্যামাইকা থেকে রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত ওই কূটনীতিককে আটক করে পুলিশ। এরপর তাকে কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে হাজির করা হয়। বার্তা সংস্থার বরাতে এ খবর ঢাকায় প্রচারের পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। খবরে বলা হয়, কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে শাহেদুলকে হাজির করা হলে বিচারক তার পাসপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। পরে জামিনের জন্য ৫০ হাজার ডলারের বন্ড বা ২৫ হাজার ডলার নগদ অর্থ ধার্য করেন। আদালত থেকে বলা হয়, এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ১৫ বছরের জেল হতে পারে।
ঘরের কাজ করানোর জন্য রুহুল আমিন নামে ঠাকুরগাঁওয়ের এক ব্যক্তিকে নিয়োগ দেন কূটনীতিক শাহেদুল ইসলাম। যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার পরই তার পাসপোর্ট কেড়ে নেয়া হয়। অভিযোগ, আমিনকে দিয়ে দৈনিক ১৮ ঘণ্টা কাজ করাতেন কিন্তু পারিশ্রমিক দিতেন না। এমনকি মারধরও করা হতো। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ডেপুটি কনসাল জেনারেলের বিরুদ্ধে রুহুল আমিন অভিযোগ এনেছেন বলে তারা মনে করেন। উল্লেখ্য যে, ২০১১ সালের ৪ঠা ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক এমপি খাদেমুল ইসলামের ছেলে শাহেদুল ইসলামকে নিউইয়র্ক দূতাবাসে নিয়োগ দেয়া হয়।
এ সম্ঢাপর্কাকে ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।