অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইইউ'র হাইরিস্ক বার্তায় বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নতুন সংকটের মুখোমুখি


বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নতুন এক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। আর এই সংকট তৈরি হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইরিস্ক বার্তায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন শর্ত দিয়েছে, আকাশ ও নৌপথে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে তৃতীয় কোন দেশে নিরাপত্তা তল্লাশি করতে হবে। সরাসরি ইউরোপে কার্গো পরিবহন করা যাবে না।

বিজিএমইএ-এর কর্মকর্তারা বলছেন, দ্বিতীয় বার স্ক্যানিং করার কারণে সময় ও অর্থের অপচয় হবে। বাংলাদেশের শ্রমিকের খরচের চেয়ে তৃতীয় কোন দেশে এ খরচ অনেক বেশি। শুধু তাই নয়, কার্গো পরিবহনে বিধি-নিষেধে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। বিশ্বের কাছে যাবে নেতিবাচক বার্তা।

বুধবার সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে। বৈঠকগুলোতে দ্রুত এই সংকট মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

ওদিকে জিএসপি ইস্যুতে বাংলাদেশকে সতর্ক করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারকে লেখা এক চিঠিতে তারা বলেছে, শ্রমিক অধিকারে লক্ষ্যণীয় অগ্রগতি দেখাতে হবে। অন্যথায় অস্থায়ীভাবে এই সুবিধা প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে।

গত ৩১শে মে বাংলাদেশ সরকারকে লেখা এক চিঠিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ২৮ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত রপ্তানি সুবিধা দিয়ে থাকে। এই চিঠিতে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি রেজ্যুলেশনের অধীনে বাংলাদেশকে যে সুবিধা দেয়া হয় তার প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে মানবাধিকার ও শ্রম অধিকারের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।

XS
SM
MD
LG