অভ্যন্তরীণ বৃষ্টিপাত এবং উজানের পানির ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় সোমবার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় ১২ জেলার প্লাবিত এলাকায় কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
দুর্গত এলাকা থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, বাড়িঘর ও ফসলি জমি ডুবে গেছে এবং দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যাভাব।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকার রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর এবং সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলাসমুহের আরও নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
দুর্গত এলাকার মানুষ গবাদি পশু সহ ঘরের চালায় কিংবা ভাসমান নৌকায় এবং বেড়ি বাঁধ অথবা উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকলেও এখনো অনেক জায়গায় ত্রাণ পৌঁছায় নাই।
ভুক্তভুগিরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাদের শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সেবা প্রয়োজন।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই তিন দিন বন্যা পরিস্থিতির আরও আবনতি ঘটতে পারে। ঢাকা থেকে জহুরুল আলম।