নানা ঝক্কি-ঝামেলার মধ্য নিয়ে বাংলাদেশী হজ কাফেলার সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে আগামীকাল। এই পরিস্থিতি যদিও নতুন নয়, বছরের পর বছর ধরে চলছে। হজের সময় এলেই নানা সমস্যা তৈরি হয়। কখনো রেজিস্ট্রেশন কখনো ফ্লাইট নিয়ে। পাসপোর্ট নিয়ে জটিলতা তো আছেই।
এবার ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে কয়েক হাজার বাংলাদেশীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। শেষ মুহূর্তে সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। এর মধ্যেও কয়েকশো বাংলাদেশী হজ কাফেলায় শরিক হতে পারছেন না।
কেন বার বার এ সঙ্কট তৈরি হয়, সে সম্পর্কে হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর সভাপতি আব্দুস সোবহান ভুঁইয়ার বলেন, গুটিকয়েক এজেন্সি মালিকের উদাসীনতা ও সরকারি কিছু সিদ্ধান্তের কারণে প্রতি বছর ঝামেলা তৈরি হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয় সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারে না।
হাব-এর মহাসচিব সাহাদাৎ হোসাইন তসলিম এই সঙ্কটের জন্য মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের আইনের আওতায় না আনা গেলে এই সঙ্কট থাকবেই।
অবসরপ্রাপ্ত পরমাণু বিজ্ঞানী ও বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ড. এম শমসের আলী এই সঙ্কট সমাধানে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন। যে কমিশনে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিরা থাকবেন। তাছাড়া এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিনিধিদেরকে রাখা যেতে পারে।
সর্বশেষ খবর হচ্ছে, ভিসা ও পাসপোর্ট জটিলতায় প্রায় ৭শ’ হজযাত্রী সৌদি আরব যেতে পারছেন না। হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ তাদের কোন দায়িত্ব নেয়নি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীসহ প্রায় সব কর্মকর্তা ইতোমধ্যেই সৌদি আরব পৌঁছে গেছেন। ফলে তাদের ব্যাপারে দেখার আর কেউ নেই।