বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সোমবার সারাদেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়েছে । এ দিনে সমগ্র জাতি বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে সে সকল শ্রেষ্ঠ সন্তানদের যাদের মহান আত্ম ত্যাগের বিনিময়ে সেদিন বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছিল বাংলাদেশ নামের নতুন একটি দেশ।
দিনের কর্মসূচির সূচনা হয় অতি প্রত্যুষে সকল সরকারি এবং বেসরকারি ভবনে জাতিয় পতাকা উত্তোলন এবং ঢাকার অদূরে সাভারে জাতিয় স্মৃতি সৌধে এক রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পুষ্প স্তবক অর্পণের মাধ্যমে। তাঁদের পুষ্প স্তবক অর্পণের পর বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধের বির শাহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
দিবসটি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিভিন্ন সংগঠন আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতিয় স্টেডিয়ামে আয়োজন করা জাতিয় শিশু কিশোর সমাবেশ। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন আজকের শিশু কিশোররা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। (Actuality)। আজকের শিশু-কিশোর, তরুণরা যেন কোনোভাবেই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা মাদকে আসক্ত না হয়, সে বিষয়ে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন/
একটি অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, সবল অর্থনীতি ও উন্নয়ন, জনগণের জীবনমানের অগ্রগতি, দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস-হানাহানিবিহীন সমাজসহ মানুষের নানাবিধ অধিকার নিশ্চিত হবে-এমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়েই গঠিত হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু এর কতোটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে আর কতোটুকুই বা বাস্তবায়ন হয়নি- এ সব বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন বিশিষ্ট লেখক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, তরুণদের উত্থানপর্বই রচনা করতে পারে স্বাধীনতার চেতনায় সমৃদ্ধ সচল সজীব উন্নত প্রত্যাশিত বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে ভয়েস অফ অ্যামেরিকার সাথে কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছরের প্রেক্ষাপটে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের ভাবনার কথা বলেছেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল লাতিফ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভারসিটি, বাংলাদেশ, এর অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এ কে মনোওয়ার উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সালামা আক্তার।