দিল্লি সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি বণ্টন ও অসমের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ভারতের সর্বশেষ মনোভাব জানতে চাইবেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী চার দিনের এক সফরে ভারত যাচ্ছেন। নানা কারণেই এই সফরের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। পানি বণ্টন ইস্যুটি বরাবরই আলোচনার টেবিলে থাকে। কিন্তু সুরাহা হয় না, নানা অজুহাতে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তির কারণে এই ইস্যুটি এখন অগ্রাধিকার সূচি থেকেও বাদ পড়েছে।
অসমের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে ঢাকায় উদ্বেগ রয়েছে। যদিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কে বলেছেন, এ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কিছু নেই। নাগরিক পঞ্জিতে প্রায় ২১ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এনআরসি নিয়ে ভারতের কোন কোন রাজনীতিবিদ উদ্যোগী হয়ে বিষয়টি তুলছেন। এতে করে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই কারণে বাংলাদেশ জানতে চাইবে আসলে তারা কি চান?
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে দিল্লি ইন্ডিয়ান ইকোনমিক সামিটে যোগ দিতেই প্রধানমন্ত্রী মূলতঃ দিল্লি যাচ্ছেন। একদিন বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বিষয়াদি নিয়ে কথা বলবেন। এ সময় সীমান্তে হত্যা, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা, বাণিজ্য, নৌপরিবহন, বন্দর ব্যবস্থাপনা, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সংক্রান্ত কাঠামো চুক্তিসহ নানা বিষয়ে কথা হবে।