মালয়েশিয়ান সরকারি বার্তা সংস্থা খবরের সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশের হাই কমিশনার শহিদুল ইসলাম। তিনি বলছেন, ২৭ জনের মধ্যে মাত্র একজন বাংলাদেশী। অথচ বুধবার পেনাং পুলিশ চিফ কমান্ডার দাতুক আব্দুল গাফফার রজব এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, এরা সবাই বাংলাদেশী। এদের কারো কাছে ওয়ার্ক পারমিট নেই। শুধু পাসপোর্ট রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামা খবর দিয়েছিল, তালাবদ্ধ অন্ধকার ঘরে আটক ২৭ জন বাংলাদেশীকে সে দেশের পুলিশ উদ্ধার করেছে। আটকাবস্থায় দিনে একটি মাত্র রুটি আর কলের পানি জুটতো তাদের ভাগ্যে। তাদেরকে দুটি বাড়িতে প্রায় দু’মাস আটক রাখা হয়েছিল। পালানোর চেষ্টা করলেই তাদেরকে বেদম প্রহার করা হতো।
বাংলাদেশের হাই কমিশনার কিসের ভিত্তিতে একজনের কথা বলছেন তা স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছিল পাচারকারীরা ৩ হাজার রিঙ্গিতের বিনিময়ে একেকজনকে বিক্রি করে দিত।
মালয়েশিয়ান পুলিশ বলেছে, তারা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তামাম সাঙ্গাই এলাকায় দু’টি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৭ জনকে উদ্ধার করে। ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।