অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশী জুয়াড়িদের নাম জানতে সিঙ্গাপুরের করাপ্ট প্র্যাকটিস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে চিঠি


ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতরা টাকা পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বেরিয়ে এসেছে কিভাবে দেশ থেকে টাকা পাচার করে সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোগুলোতে জুয়া খেলেছেন। তদন্তকারীদের কাছ থেকে তথ্য জানার পর দুর্নীতি দমন কমিশন নড়ে-চড়ে বসেছে। ইতিমধ্যেই সংস্থাটির তরফে সিঙ্গাপুরের করাপ্ট প্র্যাকটিস ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর সহযোগিতা চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

সিপিআইবি’র প্রধানকে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোগুলোতে গত ৫ বছরে বাংলাদেশের কারা কারা জুয়া খেলেছেন, তাদের আমরা চিহ্নিত করতে চাই। যেহেতু সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোগুলোতে প্রবেশের আগে প্রত্যেক বিদেশীকে তার পাসপোর্ট জমা দিতে হয়। বাংলাদেশীরাও একইভাবে ক্যাসিনোগুলোতে প্রবেশ করেছেন। তাই এটা বের করা খুব কঠিন নয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের মানি লন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালক আব্দুন নূর মোহাম্মদ আল ফিরোজ তার চিঠিতে বলেছেন, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে পাচার করেছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থেই এই তালিকার প্রয়োজন রয়েছে।

জাতিসংঘের দুর্নীতি বিরোধী কনভেনশনের স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করতে পারেÑ চিঠিতে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর অবৈধ ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২২টি ক্লাবে এবং ৫টি বারে অভিযান চালানো হয়। এসব অভিযানে গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৮০ জন। যুব লীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রেসিডেন্ট মোল্লা আবু কাওসারকে ইতিমধ্যেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। যুব লীগের আরো ৬ নেতা বহিষ্কার হয়েছেন। বিদেশ যাত্রায় ৩৪ জনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৩৫ জন কাউন্সিলর আত্মগোপনে চলে গেছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দুদক ৬০০ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।

please wait

No media source currently available

0:00 0:01:46 0:00



XS
SM
MD
LG