নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করতে আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পতাকা তুলে, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দুই দিনের এ সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে। ৩৮ বছর ধরে দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন শেখ হাসিনা। তাকে আবার এই দায়িত্ব দেয়া হবে বলে কাউন্সিলররা আগে থেকেই বলে আসছেন। সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে। এই পদে কে দায়িত্ব পাবেন তা শেষ মুহুর্তেও স্পষ্ট হয়নি।
সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল। মানুষের জন্য কাজ করাই হবে এই সম্মেলনের প্রতিজ্ঞা।
সম্মেলনের প্রথম দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিশাল আয়োজনে প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মী ও আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেন। এর মধ্যে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার ৭৩৩৭ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি করা বিশাল মঞ্চে তুলে ধরা হয় পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসহ সরকারের মেগা প্রকল্পের চিত্র।
এবারের সম্মেলনে বিদেশী অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সম্মেলনে যাননি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ সরকারের জোটের শরিক দলগুলোর নেতাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। শোক প্রস্তাব পাঠ, সাধারণ সম্পাদকের বিদায়ী বক্তৃতা আর সভাপতির ভাষণের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল সম্মেলনের প্রথম দিনের কার্যক্রম।সম্মেলনে কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও সম্মেলনস্থলের পাশে অস্ত্র বহন করায় এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।