কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা ফের সরকারকে আলটিমেটাম দিয়েছে। বলেছে, ৩১শে আগস্টের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, হামলাকারীদের শাস্তি ও গেজেট প্রকাশ না হলে তারা কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করবে। রোববার শাহবাগে এক সমাবেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষে যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন এই হুঁশিয়ারি দেন। কোটা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারীদের মধ্যে ৭ নেতা এখন কারাগারে। বাকিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারেননি। পুলিশ আর ছাত্রলীগ তাদের তাড়া করছে।
আত্মগোপনে থাকা ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, তাদের পক্ষে হলে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। গুম আর গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন তারা। কোটা সংস্কারের দাবি মেনে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদে তিনি বলেছিলেন এখন থেকে আর কোন কোটাই থাকবে না। এরপর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তিন মাস সময় চেয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আদালতের একটি রায়ের কারণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করা যাবে না। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রায় নয়, হাইকোর্টে পর্যবেক্ষণ ছিল। মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, আন্দোলনকারীদের নানা অজুহাতে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। এতে অন্যদের মধ্যেও ভীতির সঞ্চার হচ্ছে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব তার নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।