যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ম্যাজিক ম্যান। কিন্তু তার উচিত মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ না করা। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ,কে, আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটনের প্রভাবশালী পলিটিকো ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে এই মন্তব্য করেছেন। তার ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীর সংখ্যা সীমিত করার ইচ্ছা ত্যাগ করা উচিত। কারণ অভিবাসী সম্প্রদায়ের কঠোর পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ট্রাম্প প্রশাসনকে যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যবোধ ও নীতি অনুসরণ করে চলতে হবে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মহান। এটা হলো সব শ্রেণীর নির্যাতিত মানুষের স্থান। নিজেদের নিয়ে সংকীর্ণ মানসিকতার পরিবর্তে ট্রাম্প প্রশাসনকে ব্যাপক উদার মানসিকতা দেখাতে হবে।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে মোমেন বলেন, আপনি ট্রাম্পকে পছন্দ করেন আর নাই করেন তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার রয়েছে বিপুল জনসমর্থন। তিনি একজন ম্যাজিক ম্যান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাকে বিপুল পরিমাণ সহায়তা দেয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ানোর তাগিদ দেন ড. মোমেন। পলিটিকো ম্যাগাজিনকে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আরো অনেক কিছু করতে পারে। চীনের সঙ্গেও এ নিয়ে দ্যুতিয়ালি করার সুযোগ রয়েছে। যাতে করে চীন জাতিসংঘে একটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
ম্যাগাজিনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও রোহিঙ্গা মুসলিমরা গণহত্যা অথবা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শিকার হয়েছেন কিনা এ বিষয়ে অবস্থান নেননি। সম্ভবতঃ মিয়ানমারকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হলে তাতে দেশটি চীনের আরো কাছাকাছি চলে যাবে এটা ভেবে স্পষ্ট কোন অবস্থান নেননি। ড. মোমেনের সঙ্গে পম্পেও’র বৈঠক হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি জটিল।