যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, “আমেরিকায় কোন ধরণের ঘৃণার কোন স্থান নেই”। তিনি এ সপ্তায় আটলান্টার কাছে ৬ জন এশীয় আমেরিকান নারী এবং আরও দুজনের হত্যা নিয়ে এশীয়-আমেরিকানদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই মন্তব্য করেন। আটলান্টার এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মন্তব্যে বাইডেন বলেন, “আমাদের মধ্যে কিছু নিজস্ব মূল্যবোধ ও বিশ্বাস রয়েছে, যা এই আমেরিকায় আমাদেরকে একত্রিত করতে পারে। আর তারই মধ্যে একটি হচ্ছে ঘৃণার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো”।
বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে নিয়ে গতকাল জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে যান, যাতে করে যে গুলি চালনা এবং অন্যান্য ঘটনায় এশীয় বংশোদ্ভূত লোকজন বাহ্যত ঘৃণার বশবর্তী হয়ে লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হচ্ছেন তাদের প্রতি নজর দেওয়া যায়। জর্জিয়ার কর্মকর্তারা এই গুলি চালনার ঘটনাকে ঘৃণার বশবর্তী হয়ে অপরাধ সংঘটন বলছেন না, কারণ সন্দেহভাজন ব্যক্তিটি বলেছে ভিন্ন লিঙ্গের হওয়ায় সে এই গুলি চালিয়েছে। বাইডেন বলেন, “কারণ যাই হোক না কেন, আমরা জানি বহু এশীয় আমেরিকান এখন উদ্বিগ্ন অবস্থায় রাস্তায় হাঁটা চলা করছেন”। তিনি বলেন এটা খুব কষ্টকর যখন শুনলাম, এশীয় আমেরিকান সমাজের নেতারা শুক্রবারের বৈঠকে বললেন তাঁরা আশংকার মধ্যে বসবাস করছেন। ঐ বৈঠকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিসও উপস্থিত ছিলেন।
হ্যারিস, যিনি নিজে কৃষাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভুত এই বৈঠক শেষে বলেন, “ বর্ণবাদ আমেরিকায় বাস্তবে আছে, বরাবর আছে। বিদেশীদের নিয়ে অহেতুক ভীতিও এখানে বরাবরের এক বাস্তবতা, যেমন আছে নারী-পুরুষের বিভেদ”।