আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
জন্মের প্রথম ১ মিনিটের মধ্যে বার্থ এসফেকসিয়া বা জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা, সংক্রমণ এবং অপরিণত শিশুর জন্মের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে যা মোট শিশু মৃত্যুর ৬০ ভাগ। এর মধ্যে জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতার কারণেই ১৯ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১১ সালের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বার্থ এসফেকসিয়া বা জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা আসলে কি? এ ব্যাপারে হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ (এইচবিবি) প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেইভ দ্য চিলড্রেনের সেইভিং নিউবর্ন লাইভস’র পরিচালক ডা. সাইদ রুবায়েত বলেন, যে কোন নবজাতকের জন্মের পরপরই একটি নতুন পরিবেশে এসে পড়ে। তার শ্বাস-প্রশ্বাস শুরু হয় কান্নার মাধ্যমে। আর কান্না না হওয়াটাই বার্থ এসফেকসিয়া।
তিনি আরও জানান, শিশু জন্মের পর প্রথম ১ মিনিট সময়কে ‘গোল্ডেন টাইম’ বলা হয়। এ সময়ে বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত নবজাতক মুহুর্তেই সংকটাপন্ন হতে পারে। জন্মের ১ মিনিটের মধ্যেই কোনো নবজাতক স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে না পারলে, দ্রুত বিশেষ অক্সিজেন মাস্কের সাহায্যে তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া দ্রুত শিশুকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা দেওয়া ও স্পর্শের মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করা প্রয়োজন। তারপর যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে। এইচবিবি প্রকল্প এসব ক্ষেত্রে দক্ষতা ও সামর্থ্য বাড়াতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে বার্থ এসফেকসিয়ায় নবজাতকের মৃত্যু প্রতিরোধে ইউএসএআইডি’র ‘মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রোগ্রামের (এমচিপ)’ অর্থায়নে এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ (এইচবিবি)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ২০ হাজার সেবাকর্মীকে নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাসে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে এই কার্যক্রম সত্ত্বেও জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা প্রতিরোধ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই কার্যক্রম হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জন্ম নেওয়া ৩২ শতাংশ নবজাতকের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পারলেও বাড়িতে জন্ম নেওয়া ৬৮ শতাংশ নবজাতক এই কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাচ্ছে।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
জন্মের প্রথম ১ মিনিটের মধ্যে বার্থ এসফেকসিয়া বা জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা, সংক্রমণ এবং অপরিণত শিশুর জন্মের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে যা মোট শিশু মৃত্যুর ৬০ ভাগ। এর মধ্যে জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতার কারণেই ১৯ হাজার নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১১ সালের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
বার্থ এসফেকসিয়া বা জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা আসলে কি? এ ব্যাপারে হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ (এইচবিবি) প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেইভ দ্য চিলড্রেনের সেইভিং নিউবর্ন লাইভস’র পরিচালক ডা. সাইদ রুবায়েত বলেন, যে কোন নবজাতকের জন্মের পরপরই একটি নতুন পরিবেশে এসে পড়ে। তার শ্বাস-প্রশ্বাস শুরু হয় কান্নার মাধ্যমে। আর কান্না না হওয়াটাই বার্থ এসফেকসিয়া।
তিনি আরও জানান, শিশু জন্মের পর প্রথম ১ মিনিট সময়কে ‘গোল্ডেন টাইম’ বলা হয়। এ সময়ে বার্থ এসফেকসিয়ায় আক্রান্ত নবজাতক মুহুর্তেই সংকটাপন্ন হতে পারে। জন্মের ১ মিনিটের মধ্যেই কোনো নবজাতক স্বাভাবিকভাবে নিঃশ্বাস নিতে না পারলে, দ্রুত বিশেষ অক্সিজেন মাস্কের সাহায্যে তার কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া দ্রুত শিশুকে মায়ের শরীরের উষ্ণতা দেওয়া ও স্পর্শের মাধ্যমে উদ্দীপ্ত করা প্রয়োজন। তারপর যত দ্রুত সম্ভব শিশুকে মায়ের বুকের দুধ দিতে হবে। এইচবিবি প্রকল্প এসব ক্ষেত্রে দক্ষতা ও সামর্থ্য বাড়াতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশে বার্থ এসফেকসিয়ায় নবজাতকের মৃত্যু প্রতিরোধে ইউএসএআইডি’র ‘মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ইমপ্লিমেন্টেশন প্রোগ্রামের (এমচিপ)’ অর্থায়নে এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘হেল্পিং বেবিজ ব্রিদ (এইচবিবি)’ শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় ২০ হাজার সেবাকর্মীকে নবজাতকের শ্বাস-প্রশ্বাসে দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
এদিকে এই কার্যক্রম সত্ত্বেও জন্মকালীন শ্বাসরুদ্ধতা প্রতিরোধ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই কার্যক্রম হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জন্ম নেওয়া ৩২ শতাংশ নবজাতকের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে পারলেও বাড়িতে জন্ম নেওয়া ৬৮ শতাংশ নবজাতক এই কার্যক্রমের বাইরে থেকে যাচ্ছে।