ক্রসফায়ার মেনে নেয়া যায় না। বিরোধী বিএনপি মনে করে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার ক্রসফায়ার বেছে নিয়েছে। তাদের আশঙ্কা, সরকার সামনের দিনগুলোতে বিরোধী নেতা-কর্মীদেরকে ক্রসফায়ারে নেবে। দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্রসফায়ার কোন সমাধান নয়। তিনি বলেন, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অ্যাকশন শুরু হয়ে গেছে। তাতে বোঝা যায়, সরকারের নির্দেশেই ক্রসফায়ার হচ্ছে। তিনি বলেন, ক্রসফায়ার এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছে।
গত এক সপ্তাহে শাসক দলেরই অন্তত তিনজনকে ক্রসফায়ারে নেয়া হয়েছে। ড. রিপন ক্রসফায়ার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতি খুবই নাজুক। দেশের আইন-শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তা সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট সুলতানা কামাল ক্রসফায়ারের কড়া সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, অপরাধী দলের হলেও কোন ছাড় না দেয়ার এ সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। কিন্তু সে কঠোরতা যদি অপরাধীদের আটকের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শাস্তি প্রদান না করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকারীদের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়, তাহলে তা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কোন ভূমিকা রাখবে না। শুধু তাই নয়, বিচার-বহির্ভুত হত্যাকান্ড মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এ সম্পর্কে ঢাকা থেকে বিস্তারিত জানিয়েছেন মতিউর রহমান চৌধুরী।