বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচির শুরুতেই পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রথম মাসে ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা ছিল। এখন সে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৩৫ লাখ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন। ৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, টিকাদান কার্যক্রমের প্রথম পর্যায়ে সম্মুখসারির কোভিড যোদ্ধাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মী, সাংবাদিক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অগ্রাধিকার পাবেন।
ওদিকে কোভ্যাক্স সুবিধায় গ্যাভি থেকে ১ কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস গত রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কখন এ টিকা আসবে তা অবশ্য জানাতে পারেনি সংস্থাটি। এর আগে বাংলাদেশকে সাত কোটি টিকা দেয়ার কথা জানিয়েছিল। তখন সংস্থাটি বলেছিল, দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষের জন্য টিকার ব্যবস্থা করবে তারা।
জনগণকে টিকাদানে উৎসাহিত করার জন্য সারাদেশে মাইকিং করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, করোনা নির্মূল করতে হলে টিকার কোনো বিকল্প নেই। আর টিকা পেতে হলে নিবন্ধন করতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত দেড় লাখ মানুষ নিবন্ধন করেছেন। প্রথমদিকে নিবন্ধনের সংখ্যা কম হলেও এখন বাড়ছে। রাজধানীতে ৪৩টি হাসপাতালে ৩৫৪টি বুথে টিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছেন ৪৮৫ জন।