ভয়াবহ কিছু ভিডিও প্রচার করে চীনের কিছু স্থানে হামলার হুমকী দিয়েছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি ইসলামিক ষ্টেট। বিশ্লেষকরা বলছেন মধ্য এশিয়ায় চীন যে তাদের আধিপত্য বাড়ানোর মানষিকতা দেখাচ্ছে, এটা তার বিরুদ্ধে একটি হুমকী হতে পারে।
ভিডিওতে দেখানো হচ্ছে আদিবাসী উইঘুর সম্প্রদায়ের লোকেরা ইরাকে ইসলামিক ষ্টেটের হয়ে যুদ্ধ করছে। তারা চীনে ফিরে আসার হুমকী দিয়ে বলছে রক্তের বন্যা বইয়ে দেবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের কোনঠাসা অবস্থানের কারনে তারা এসব প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। বিশ্লেষক রাফায়েলো পানটুচি বলেন, “তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিচ্ছে এবং তাদের সঙ্গের উইঘুরদের মতোই বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মানুষ যোগ দিয়েছে। যারা যার যার দেশে ফিরে গিয়ে ওইরকম জঘন্য কাজকর্ম করার মানষিকতা রাখে। এবং তা নিয়ে তারই প্রচারণা চাণলাচ্ছে কয়েকগুন বাড়িয়ে”।
ওই ভিডিওতে বলা হয়েছে বেইজিং চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং প্রদেশের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় অত্যাচার নির্যাতন করেছে, করছে। ঐ অঞ্চলে অত্যন্ত কড়া নিয়ন্ত্রনে রাখে বলে ঐসব অত্যাচার নির্যাতনের খবর যাচাই করা কঠিন। রাফায়েল বলেন, “অন্তত দুটি হামলার কথা এবং কয়েকটি অনাকাংখিত ঘটনার প্রমান মেলে। আমরা দেখেছি শিনজিয়াং এর গভর্ণর কড়াভাবে ঐ অঞ্চলে নিরাপত্তা অবস্থার নিয়ন্ত্রন করেছেন। যার সূত্র ধরেই বলা যায় চীন জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস নিয়ে, বিশেষ করে আইএস বিষয়ে উদ্বিগ্ন বলেই তা করা হচ্ছে”।
হতে পারে ইসলামিক ষ্টেট কমন এনিমি বা সাধারন শত্রু; তবে এই সন্ত্রাসী দমনে বৈশ্বিক প্রয়াসের সঙ্গে চীনের সমন্বয়ে কিছুটা দুর্বলতা আছে। যেমনটি বলেন বিশ্লেষক ম্যাথিউ ডুচাটেল।
“শিনজিয়াং এর নীতিমালায় চীন চায় পশ্চিমাদের সমর্থন। চীন মনে করে শিনজিয়াং প্রদেশে তাদের নেয়া জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকান্ড ও নীতিমালা সমর্থন করেনা পশ্চিমা বিশ্ব। অন্তত ইউরোপের বক্তব্যে তা স্পষ্ট, যাতে তারা বলেছে চীনের নীতিমালা স্পষ্ট নয়”।
সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠির মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধের উদ্যোগস্বরূপ এ মাসের গোড়ার দিকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বেইজিং এ মাইনরিটি গোষ্ঠির নেতাদেওরকে নিয়ে বৈঠক করেন। তবে মানবাধিকার সংগঠনসমূহ অভিযোগ করে আসছে যে চীন ইউঘুর সম্প্রদায়ের প্রতি অণ্যায় অবিচার করে চলেছে। ওদিকে চীন পশ্চিমাদের সম্পর্কে বলছে তারা ডাবল ষ্ট্যন্ডার্ড গ্রহণ করেছে।
চীন একটি নতুন আইন করেছে জঙ্গী বিরোধী অভিযানে চীনের সেনাদের বিদেশে পাঠানোর সমর্থনে। তবে পশ্চিমা বা রাশিয়ার বাহিনীর পাশাপাশি তারা আইএস দমন যুদ্ধে অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।