তিব্বত, মধ্যাঞ্চলীয় মঙ্গোলিয়া এবং সিনজিয়াংয়ে একত্রিত জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা চালানোর পর চীন সরকার এখন আঞ্চলিক ভাষায় ক্লাসের পড়াশোনার নির্দেশনা বন্ধ করেসকল সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রণ করতেসাংস্কৃতিক নীতি প্রয়োগ করা শুরু করেছে।
গত মাসে বেইজিং শিশুদের বিকাশের জন্য একটি নতুন ব্লুপ্রিন্ট প্রকাশ করেছে যার ফলে সংখ্যালঘু শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় শিক্ষিত হওয়ার অধিকারের নিশ্চয়তা থেকে বঞ্চিত হবেI
সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখে প্রকাশিত দি নিউ চায়না ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট (২০২১-২০৩০) পূর্ববর্তী শিক্ষা নির্দেশনাগুলিকে বাদ দেয়, যেমন সেখানে জাতিগোষ্ঠী সংখ্যালঘু শিশুদের তাদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষিত হওয়ার এবং শ্রদ্ধা করার অধিকার রক্ষা করা হয়েছিলI
কতৃপক্ষ সেই নির্দেশনা পরিবর্তন করে এখন একটি অভিন্ন জাতীয় ভাষা প্রচলনের উদ্যোগ নিয়েছেনI ফলশ্রুতিতে এখন জাতিগোষ্ঠী সংখ্যালঘু শিশুদের ক্লাসরুমে তাদের নিজস্ব ভাষার পরিবর্তে ম্যান্ডারিন চীনা ভাষা পড়তে এবং লিখতে হবেI
আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বাদ দেয়া বা সংক্ষিপ্ত করা বহুল প্রচলিত জোরপূর্বক একীভূত করার অন্যতম কৌশলI রাজতন্ত্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ইউক্রেইন, পোলিশ, লিথুনিয়ান এবং বেলারুশের ভাষার ব্যবহার খর্ব করার চেষ্টা করেছিলI ইংল্যান্ড আঞ্চলিক ভাষা স্কুলে নিষিদ্ধ কোরে ওয়েলস, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করেI কতৃপক্ষ ১৮৯৩ সালে রাণী লিলিয়াকালানিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করার পর কর্তৃপক্ষ সরকারিস্কুলে হাওয়াই'র ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে দেয়I