অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ওয়াশিংটনে পিপল’স ক্লাইমেট মার্চ


জলবায়ু পরিবর্তন রোধে ব্যাবস্থা গ্রহনের দাবীতে শনিবার ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পিপল’স ক্লাইমেট মার্চ শিরোনামে বিশাল সমাবেশ। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া আদেশের প্রতিবাদেই মূলত এই সমাবেশ এবার। কয়েকজন বিজ্ঞানী এর মূল উদ্যোক্তা হলেও এতে যোগ দিচ্ছেন বর্ন ও জাতীভেদে নানা শ্রেনীর মানুষ। ষ্টিভ ব্যারাগোনার রিপোর্ট থেকে সেলিম হোসেন শোনাচ্ছেন।

হাওয়াইয়ের প্রত্যন্ত এক পাহাড়ের চুড়া থেকে এই আন্দোলনের সূচনা। বিজ্ঞানীরা কার্বোন ডাই অক্সাইডের মাত্রা মাপতে শুরু করেন ১৯৫০ এর শেষদিক থেকে তখনই পূর্বাভাষ দেয়া হয়েছিল জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে। Union of Concerned Scientists এর প্রেসিডেন্ট Ken Kimmell একথা বলেন।

“ঐ একই সময়ে বিজ্ঞানীরা প্রত্যক্ষ করেন তাপমাত্রার মৃদু উষ্ণায়ন। মৃদু হলেও তা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। আর তখন থেকেই তাপমাত্রার ওই মৃদু উষ্ণায়নের ধারার সঙ্গে বিজ্ঞানীরা কার্বোন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধিরও পূর্বাভাষ দিয়েছিলেন”।

তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং কার্বোন বৃদ্ধির কারনে পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব যখন মারাত্মক আকারে পরিলক্ষিত এবং অনুভুত হতে লাগলো মানুষ এ নিয়ে সচেতন হওয়া শুরু করলেন, সতর্ক হওয়া শুরু করলেন। তা প্রতিরোধের নানা ব্যাবস্থা নিয়ে বৈঠক, সম্মেলন ও আলোচনা শুরু হলো। একই সঙ্গে শুরু হলো এ নিয়ে রাজনীতিও। ওয়াশিংটনও সেই রাজনীতি থেকে বাদ পড়েনি। আর সেই জন্যেই গত সপ্তাহে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসে রাজধানী ওয়াশিংটনসহ বিশ্বের ৬০০টি স্থানে অনুষ্ঠিত হলো মার্চ ফর সাইন্স।

গত সপ্তাহ ছিল বিজ্ঞানের জন্যে সমাবেশ; আর এই সপ্তাহ হবে মানুষের জন্যে সমাবেশ। বললেন জলবায়ু বিষয়ক গ্রুপ Hip Hop Caucus এর নির্বাহী পরিচালক Liz Havstad

“আন্দোলন করতে গিয়ে আমরা অনেক সময় সংখ্যার তত্বে আটকে যাই; আর তখন মানবিক বিষয়টি তুলে ধরা যায় না”।

হ্যাভস্টাড বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়বে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হবে দরিদ্র ও অরক্ষিত জনগোষ্ঠি।

“হ্যারিকেন ক্যাটরিনা যখন আঘাত করেছিল তখন আমরা দেখেছি তা কতোটা ভয়াবহ ছিল। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহতা কি হতে পারে আমরা তখন বুঝতে পেরেছিলাম। আর দরিদ্রদের জন্যে তা আরো কতো মারাত্মক হয় তাও বোঝা যায়। দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতি বর্নের বিচারেও অনেক সময় সহায়তার ক্ষেত্রে হেরফের হতে দেখা গেছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তন রোধকে গুরুত্বপূর্ন বিষয় হিসাবে নেয়া উচিৎ”।

এজন্যেই হিপহপ ককাস ও অন্যান্য জলবায়ু বিষয়ক সংগঠন এই আন্দোলনে নেমেছে। সাধারনত পরিবেশ বিষয়ক যেসব সংগঠন কাজ করে শুধু তারাই নয়, এই মার্চে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন সংগঠনের, পেশার, জতীর, বর্নের, মানুষ। সিয়েরা ক্লাবের মাওরা কাউলি তেমনই একজন। স্কাইপে তিনি বলেন,

“গত কয়েক বছরে আমাদের এই জোট খুব শক্তিশালি হয়েছে। আমাদের লেবার ইউনিয়ন হয়েছে; কালার অব চেঞ্জের মতো সংগঠন আমাদের সঙ্গে কাজ করছে; NAACP এর মতো সংগঠন যারা নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করে তারাও যোগ দিচ্ছে”।

শনিবারের পিপলস ক্লাইমেট মার্চে প্রায় এক হাজারের মতো সংগঠন যোগ দেবে তাদের কর্মীদের নিয়ে।

বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল নেটওয়ার্ক, বেন নামে অধিক পরিচিত সংগঠনটির কর্মীরাও যোগ দিচ্ছেন শনিবারের সমাবেশে। সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ওয়াশিংটনে ন্যাশনাল মলের পাশে জেফারসন ড্রাইভের ওপর ফোর্থ থেকে সেভেনথ ষ্ট্রিটের ওপর অনুষ্ঠিত হচ্ছে মূল সমাবেশটি। ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্কে।

XS
SM
MD
LG