অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অলিম্পিক সমাচার: কোচ জেফরি কোরিগানের সঙ্গে সাক্ষাৎকার


শুক্রবার রাণী এলিজাবেথের হীরকজয়ন্তীর এই বছরে চমত্কার আয়োজন, তাঁরই ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে গেল বর্ণাঢ্য লণ্ডন অলিম্পিক উত্সব। হাজার হাজার দর্শকভক্তের সমাগম লণ্ডনে আর বিশ্ব জুড়ে লক্ষ কোটি দর্শক টেলিভিশনের মিনি পর্দায় অথবা ওয়েবসাইটে দেখেছেন তার কিছু দৃশ্য, রেডিওতে শুনেছেন তার বর্ণনা।

এবার আপনাদের অলিম্পিক সমাচার শোনাচ্ছেন রোকেয়া হায়দার।
please wait

No media source currently available

0:00 0:04:15 0:00
সরাসরি লিংক
বাংলাদেশি-আমেরিকান জিমন্যাস্ট সাইক সিজার বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস দলের সদস্য। তার কোচ জেফরি কোরিগানের সঙ্গে কথা হলো।

কোচ যুক্তরাষ্ট্রের জেফরি কোরিগান বললেন, ‘এখানে সব ব্যবস্থাই খুব ভাল। যাতায়াত করাটা খুব সহজ। যানবাহন সহজে পাওয়া যায়। খাবার ব্যবস্থাও খুব ভাল’।

জেফরি বলেন, আমি অন্য কোন অলিম্পিকে যাইনি, কিন্তু কলোরাডো স্প্রিংসে আমি সেখানে চার বছর ছিলাম, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র অলিম্পিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হয়, লণ্ডনের ব্যবস্থা অনেক ভাল। কলোরাডো স্প্রিংসের চাইতে এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক ভাল বা বলা যায়, প্রায় সমান। তিনি বলেন, ‘এখানে অলিম্পিক ভিলেজে অনেক কড়াকড়ি রয়েচে, ভিলেজে যাওয়ার জন্য পাস লাগে, প্রতিদিনই এক্স-রে মেশিন ও মেটাল ডিটেক্টারের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। খেলোয়াড়, কোচ যে কোন কর্মকর্তা সবার জন্যই একই নিয়ম’।

জেফরি বলেন, লণ্ডনের আয়োজন সম্পর্কে যদি প্রশ্ন করা হয় কত ভাল, তিনি বলবেন ১০ এর ৯ নম্বর দেওয়া যায়। জিমন্যাস্টিকস প্রতিযোগিতার যে জায়গা সেটা খুবই চমত্কার। ১৭ হাজার দর্শকাসনের এরিনা। কোচ জেফরি কোরিগান জানালেন, বাংলাদেশি-আমেরিকান জিমন্যাস্ট সাইক সিজার যে এবার বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রতিযোগিতায় নামছে, কয়েক সপ্তাহ আগে তার কিছুটা অসুবিধা হযেছিল, তবে এখন তা সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠেছে এবং সিজার চারটি বিভাগে অংশ নেবে – ‘ফ্লোর এক্সারসাইজ, প্যারালেল বার, হাই বার, এবং ভল্ট। প্রায় তিন বছর ধরে আমি তাকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি’।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র দল এবার স্বাগতিক বৃটেন এবং অন্যান্য দেশকে ছাড়িয়ে সবচাইতে বেশী পদক জয়ের আশা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের মহিলা ভলিবল দলের কোচ নিউজিল্যাণ্ডের হিউ ম্যাককুচেন সে কথাই জানালেন। চার বছর আগে বেজিং অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্র পুরুষ ভলিবল দলের কোচ হিউ তার পারিবারিক দূর্ঘটনার শোক কাটিয়ে উঠে তার ভলিবল দলকে সোনার পদক জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। বেজিংএ তার স্ত্রী ও স্ত্রীর মা বাবার ওপর এক ব্যক্তি ছুরি নিয়ে হামলা চালায়, তার শ্বশুরমারা যান, এবং হামলাকারী আত্মহত্যা করে। কোচ সব কথা মন থেকে সরিযে রেখে তার দায়িত্ব পালন করেন। এবার যুক্তরাষ্ট্র মহিলা ভলিবল দলও সোনার পদক জিতবে বলে তার আশ। তিনি বলেন, ‘আমি সেই সুযোগ দেখেছি এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহিলা-পুরুষ দুটি দলকেই প্রশিক্ষণ দেবার সুযোগ পেয়েছি আমি। এটা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ তবে এখানে এই দলের সঙ্গে এসেছি আমি খুবই আনন্দিত’। বললেন কোচ হিউ।

এ পর্যন্ত আমেরিকার কোন মহিলা ভলিবল দল অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয় করেনি। এই দলের ক্যাপ্টেন লিন্ডসে বার্গ এই নিয়ে তৃতীয়বার অলিম্পিকের খেলার সুযোগ পেয়েছেন। তার কথা আমেরিকানরা জয়ী হবে সেটাই সবার ধারণা – ‘আমি এক নম্বর দলে উঠে যাব সেটাই আশা করছি। আমরা এই মর্যাদা পরিশ্রম করে পেয়েছি, এবার তা কাজে প্রমান করতে হবে। আশাকরি বিশ্বের সবচাইতে বড় প্রতিযোগিতায় আমরা সেটাই দেখাতে পারবো।

এবার একে একে প্রতিযোগীরা তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করবেন, নতুন রেকর্ড আর নতুন আশা নিয়ে লণ্ডন অলিম্পিক সফল হোক সেটাই সবার কামনা।
XS
SM
MD
LG