ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গতকাল বিবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রথম কয়েক সপ্তা এবং মাস, তাঁর সরকার এই ভাইরাসের সুক্ষ বিষয়গুলো বুঝতে পারেনি। জনসন বলেন সম্ভবত আমরা গোড়াতে এ কথাটা বুঝতে পারিনি যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছাড়া আক্রান্ত এই রোগিরা কি পরিমাণে রোগ সংক্রমণ ঘটাচ্ছিলেন। জনসন , যিনি কভিড ১৯ থেকে সেরে ওঠা রোগি বলেন আমাদের এটা একন বুঝতে হবে আমরা প্রথম দিকে কি ভাবে এই রোগ মোকাবিলা করেছি। হয়ত আমরা অন্যভাবেও করতে পারতাম। জন্স হপক্ন্সি ইউনিভার্সিটির হিসেবে ব্রিটেনে তিন লক্ষ লোক এই রোগে সংক্রমিত হন এবং মারা গেছেন ৪৬ হাজার মানুষ।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাঢানম ঘেব্রেসিয়াস জিনিভায় সতর্ক করে দিয়েছেন যে এই মহামারি আসবার আগে যা ছিল আমাদের নিয়মিত কাজ , কোথা্ও যা্ওয়া বা কারও সঙ্গে দেখা করা সেগুলোই এখন হয়ে উঠেছে জীবন মরণের প্রশ্ন। টেড্রস এ সপ্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেওর একটি মন্তব্যকে নাকচ করে দেন যেখানে পম্পেও বলেছিলেন করোনাভাইরাসে মানুষের মৃত্যুর জন্য টেড্রসকে চীন কিনে নিয়েছে। টেড্রস বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই সব মন্তব্যে বিভ্রান্ত হবে না এবং আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও বিভ্রান্ত করতে চাইনা। সব চেয়ে বড় যে হৃমকির সম্মুখীন আমরা আজ, তা হলো এই মহামারির রাজনীতিকিকরণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন রাজনীতি এবং দলীয় বিভাজন বিষয়টিকে আরও খারাপ করে তুলছে। সংস্থাটি বলছে যে গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বব্যাপী আরও ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ১৯৬ জন এই রোগে সংক্রমিত হয়েছেন এবং ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন আরও ৯,৭৫৩ জন।
ভিয়েতনাম সে দেশে বন্য প্রাণী এবং বন্য প্রাণী দ্বারা উৎপাদিত পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। এ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে কভিড ১৯ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় শীর্ষ রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউচি এই রোগ সংক্রমণ রোধ করতে রাজ্যগুলোকে সব কিছু চালু করার পরিকল্পনা থেকে এখন সরে আসতে বলেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ড ফাউচি বলেন তাদের সব কিছু বন্ধ করে দিতে হবে তা নয় তবে নিশ্চয়ই একটু থামতে হবে হয়ত পিছিয়েও যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন ও কভিড ১৯ সংক্রমণের হিসেবে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪১ লক্ষ লোক সংক্রমিত হয়েছেন আর এর পরই হচ্ছে ব্রাজিলের স্থান । সেখানে সংক্রমিত হয়েছেন ২২ লক্ষ লোক আর ১৩ লক্ষ লোক সংক্রমণে ভারতের স্থান হচ্ছে তৃতীয়। জন্স হপকিন্সের হিসেব অনুযায়ী এখন বিশ্বে মোট সংক্রমিত রোগির সংখ্যা হচ্ছে এক কোটি সাতান্ন লক্ষেরও বেশি এবং মারা গেছেন ছয় লক্ষ উনচল্লিশ হাজার লোক।