হাতে ‘স্টপ কিলিং রোহিঙ্গা’, ‘উই আর কামিং’ লেখা প্লেকার্ড। মুখেও সেই স্লোাগান। হেফাজতে ইসলামীর হাজার হাজার সমর্থক সোমবার এভাবেই রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজধানী ঢাকায়। হেফাজত নেতারা বলেছেন, স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তাদের সংগ্রাম চলবে। প্রয়োজনে তারা আরাকান অভিমুখে লংমার্চ করার হুঁশিয়ারিও দেন। কথা ছিল ঢাকাস্থ মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করার। কিন্তু মিছিলটি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ থেকে রওয়ানা দিয়ে শান্তিনগর পৌঁছার পর পুলিশ তাদের বাঁধা দেয়। এরপর ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমার দূতাবাসে গিয়ে একটি স্মারকলিপি পেশ করে। এতে অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়। তারা জাতিসংঘে আঞ্চলিক কার্যালয়েও আরেকটি স্মারকলিপি পেশ করেন। মিছিলপূর্ব সমাবেশে হেফাজত নেতারা বলেন, রোহিঙ্গাদের খাদ্য-বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথাও বলেন তারা। হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এ যাবত ৩৫ বারেরও অধিক বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘণ করেছে। কিন্তু সরকার কোন পদক্ষেপ নেয়নি। সভাপতির বক্তব্যে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর সভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরীহ রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যে নির্মম গণহত্যা চলছে তা ইতিহাসের সকল বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী এ গণহত্যায় ধিক্কারের পরও মিয়ানমারের সামরিক জান্তা তাদের নিষ্ঠুরতা বন্ধ করেনি। কূটনৈতিক পথে সফলতা না এলে আরাকান স্বাধীন করার জন্য সামরিক ব্যবস্থা কথাও বলেন তিনি।
হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মুজিবুর রহমান পেশোয়ারী প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রাশিয়া-চীন ও ভারতকে ভয় করবেন না। রোহিঙ্গা ইস্যুতে এদেশের জনগণ আপনার সাথে রয়েছে।