আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
শ্রোতামণ্ডলী, নতুন বছরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ইংরেজী নববর্ষের শুরুতে এবারের পর্বে থাকছে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার সাক্ষাতকারভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন। দুই পর্বের এই প্রতিবেদনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেশ খোলামেলাভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য, বিশেষ করে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি, স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার উপায়, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা এবং নতুন বছরে তাঁর প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন। ড্যান মজীনা মনে করেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ স্বাস্থ্যখাতে এমডিজি লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ও প্রজনন হার হ্রাসসহ বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৪ সালে এসে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এইসব সাফল্য প্রসঙ্গে ড্যান মজীনা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি যারা মাতৃমৃত্যু এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হ্রাসে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার পথে রয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ৭৫ শতাংশ এবং পাচঁ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু ৬৬ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দেশটি ইতিমধ্যে এই দুই ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৬৬ ও ৬০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। এটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য উন্নতি।
এসব সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে নতুন বছর শুরু করবে এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সময় এদেশের মোট প্রজনন হার ছিল ৬ দশমিক ৩, যা এখন কমে ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। এখন এদেশের মানুষ পরিবারের সদস্য সংখ্যা সীমিত রাখার ব্যাপারে ভাবতে পারছে এবং সীমিত রাখছে। এটি স্বাস্থ্যখাতে চমকপ্রদ সাফল্যই নির্দেশ করে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মজীনা বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশটি ওবামার চারটি প্রেসিডেন্সিয়াল উদ্যোগ- ফিড দ্য ফিউচার, গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ ও এনগেইজমেন্ট উইথ দ্য মুসলিম ওয়ার্ল্ডের অংশীদার এবং উদ্যোগগুলো থেকে সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া আমেরিকা বাংলাদেশের এনজিওদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক স্মাইলিং সান হেলথ ক্লিনিক কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা দিচ্ছে। লাখ লাখ বাংলাদেশী এই ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও স্বাস্থ্যখাতে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের পুষ্টিমান উন্নয়নে ফিড দ্য ফউচার কর্মসূচীর মাধ্যমে অপুষ্টি মোকাবেলায়, খাদ্য উতপাদন বাড়াতে, পরিবারের খাদ্যক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি মায়েরা কিভাবে সুষম খাদ্য রান্না করবেন সে ব্যাপারেও আমেরিকা সহযোগিতা করছে।
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা
শ্রোতামণ্ডলী, নতুন বছরের প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। ইংরেজী নববর্ষের শুরুতে এবারের পর্বে থাকছে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার সাক্ষাতকারভিত্তিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিবেদন। দুই পর্বের এই প্রতিবেদনে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বেশ খোলামেলাভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উল্লেখযোগ্য সাফল্য, বিশেষ করে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি, স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার উপায়, এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা এবং নতুন বছরে তাঁর প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছেন। ড্যান মজীনা মনে করেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হ্রাসসহ স্বাস্থ্যখাতে এমডিজি লক্ষ্য অর্জনের পথে রয়েছে বাংলাদেশ।
মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ও প্রজনন হার হ্রাসসহ বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। ২০১৪ সালে এসে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এইসব সাফল্য প্রসঙ্গে ড্যান মজীনা বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য রয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের পাঁচটি দেশের একটি যারা মাতৃমৃত্যু এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হ্রাসে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করার পথে রয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে মাতৃমৃত্যু ৭৫ শতাংশ এবং পাচঁ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু ৬৬ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। দেশটি ইতিমধ্যে এই দুই ক্ষেত্রে যথাক্রমে ৬৬ ও ৬০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে। এটি অবশ্যই উল্লেখযোগ্য উন্নতি।
এসব সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে নতুন বছর শুরু করবে এমন প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, ৭১ সালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের সময় এদেশের মোট প্রজনন হার ছিল ৬ দশমিক ৩, যা এখন কমে ২ দশমিক ২-এ নেমে এসেছে। এখন এদেশের মানুষ পরিবারের সদস্য সংখ্যা সীমিত রাখার ব্যাপারে ভাবতে পারছে এবং সীমিত রাখছে। এটি স্বাস্থ্যখাতে চমকপ্রদ সাফল্যই নির্দেশ করে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত মজীনা বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশই একমাত্র দেশ, যে দেশটি ওবামার চারটি প্রেসিডেন্সিয়াল উদ্যোগ- ফিড দ্য ফিউচার, গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ, গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ ও এনগেইজমেন্ট উইথ দ্য মুসলিম ওয়ার্ল্ডের অংশীদার এবং উদ্যোগগুলো থেকে সরাসরি সুবিধা পাচ্ছে। এছাড়া আমেরিকা বাংলাদেশের এনজিওদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক স্মাইলিং সান হেলথ ক্লিনিক কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা দিচ্ছে। লাখ লাখ বাংলাদেশী এই ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন। ভবিষ্যতেও স্বাস্থ্যখাতে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের পুষ্টিমান উন্নয়নে ফিড দ্য ফউচার কর্মসূচীর মাধ্যমে অপুষ্টি মোকাবেলায়, খাদ্য উতপাদন বাড়াতে, পরিবারের খাদ্যক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে এমনকি মায়েরা কিভাবে সুষম খাদ্য রান্না করবেন সে ব্যাপারেও আমেরিকা সহযোগিতা করছে।