অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সুস্থ শিশুরাই গড়বে স্বপ্নের সোনার বাংলা


আঙ্গুর নাহার মন্টি
ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার
সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

রাষ্ট্রদূত মজীনার সাক্ষাতকারভিত্তিক প্রতিবেদন ২

গত সপ্তাহে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনার সাক্ষাতকারভিত্তিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্বে আমরা শুনেছিলাম বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহযোগিতার কথা। এবারের পর্বে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানাবেন এদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবেলার উপায় এবং নতুন বছরে তার প্রত্যাশার কথা।

রাষ্ট্রদূত মজীনার মতে, এদেশের শিশুরাই একদিন রবি ঠাকুরের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। তাই এই শিশুদের সুস্থ, শক্তিশালী ও মানসিকভাবে সচেতন করে তুলতে তাদের জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাবার নিশ্চিত করতে হবে।

কম উচ্চতা বা খর্বাকৃতি বা বেটে, কম ওজনের শিশুর জন্ম, বার্থ এসফেকশিয়া, পানিতে ডুবে মৃত্যু ও দক্ষ ধাত্রীসেবার অভাবকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, ৪১ শতাংশ পাঁচ বছরের কমবয়সী বাংলাদেশী শিশু শারীরিকভাবে কম বেড়ে উঠছে। এর কারণ অপুষ্টি, কম পুষ্টি ও সুষম খাদ্যের অভাব। এদেশের অনেক শিশু কম ওজন ও নানা স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। এখনও এদেশে প্রতি চারজনে তিনজন মা প্রসবকালীন সেবা পান না যা সুস্থ সন্তান জন্মদান নিশ্চিত করবে। মাত্র ১২ শতাংশ মায়ের প্রসবকালীন দক্ষধাত্রীসেবা নিশ্চিত করা গেছে। এখনও এক বছরের শিশুরা এমনকি প্রথম ২৮ দিনে বার্থ এসফেকশিয়া ও সংক্রমণের কারণে মারা যাচ্ছে। পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার সংখ্যাও কম নয়।

এই গুরুতর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার উপায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো প্রতিরোধে অবশ্যই লক্ষ্য থাকতেই হবে। আমার বলতে ভাল লাগছে যে, বাংলাদেশের জন্য এমডিজি অর্জনই শেষ কথা নয়। ২০১৩ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু কমিয়ে আনতে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এটি একটি উচ্চমানের ও ভাল উদ্যোগ। তবে এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কাজ করে যেতে হবে।

নতুন বছরে বাংলাদেশের মানুষের জন্য মজীনার বার্তা কি হবে জানতে চাইলে তিনি জানান, আশা করি শিশুদের পুষ্টিক্ষেত্রে আরো উন্নতি হবে; ‍সুস্থ, শক্তিশালী ও মানসিকভাবে সচেতন হয়ে বেড়ে উঠতে শিশুরা পুষ্টিকর ও সুষম খাবার পাবে; যাতে রবি ঠাকুরের স্বপ্নের সোনার বাংলা পরবর্তী এশিয়ান টাইগার হয়ে গড়ে উঠে। শিশুদের দিকে নজর না দিলে কোন কিছুই সম্ভব হবে না।

চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ২০১৪ সাল বাংলাদেশের জন্য একটি অনন্য বছর হবে এবং এবছরের মধ্যেই দেশটি এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
সরাসরি লিংক
XS
SM
MD
LG