অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

তারুণ্যে বিনিয়োগের অঙ্গীকারে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত


আঙ্গুর নাহার মন্টি

ঢাকা রিপোর্টিং সেন্টার

সহযোগিতায় - ইউএসএআইডি ও ভয়েস অফ আমেরিকা

‘তারুণ্যে বিনিয়োগ, আগামীর উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত শুক্রবার ১১ জুলাই সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে র‌্যালি ও আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের তথ্যমতে, গত কয়েক দশকে বিভিন্ন জনমিতিক সূচকে বাংলাদেশের বেশ অগ্রগতি হয়েছে। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসে সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো এমডিজি এ্যাওয়ার্ড-২০১০ পেয়েছে। নানা প্রতিকুল অবস্থার মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা এবং মা ও শিশু স্বাস্থ্য কর্মসূচী অগ্রগতি অর্জন করেছে। প্রতিবছর পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারী শতকরা ১ দশমিক ৫ ভাগ হারে বাড়ছে। বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার শতকরা ৬১ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। প্রজনন হার কমে ২ দশমিক ৩ ভাগে নেমে এসেছে। বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

এদিকে আগামী ২০১৫ সাল নাগাদ পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রমে এমডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাল্য বিয়ে। আইনে নিষেধ থাকলেও ১৮ বছর বয়সের আগেই শতকরা ৬৬ ভাগ কিশোরী মেয়ের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে। এই কিশোরীদের এক-তৃতীয়াংশ ১৯ বছর বয়স হওয়ার আগেই গর্ভধারণ করেন বা মা হয়ে যান। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মাত্র ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। অন্যদিকে পরিবার পরিকল্পনার অপূর্ণ চাহিদা এখনও ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ। আর বিভিন্ন পদ্ধতিতে ঝরে পড়ার (ড্রপ আউট) হার এখনও ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ। দেশের এই বাস্তবতায় পালিত হলো এবারের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

এই দিবসকে সামনে রেখে তরুনদের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া প্রসঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (তথ্য, শিক্ষা ও উদ্ধুদ্ধকরন-আইএম ইউনিট) ড. মো: নাসিরউদ্দিন বলেন, আমাদের ভবিষ্যত তরুণরাই। তারাই দেশের চালিকাশক্তি হবে। আজকের তরুনরাই আগামীতে দেশের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তাই তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সবক্ষেত্রে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে তারাই আমাদের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখবে এবং জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

দেশের মোট জনসংখ্যার ৩৩ শতাংশই তরুণ। যার একটি বড় অংশ দ্রুত প্রজননক্ষম বয়সে প্রবেশ করছে। এই বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে পরিবার পরিকল্পনা ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্ট খাতে বিনিয়োগের এখনই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

XS
SM
MD
LG