২০১৬ সালের প্রারম্ভেই বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ায় ইবোলা সংক্রমন শূন্যের কোঠায় এসে পৌছেছে। তবে পশ্চিম আফ্রিকাকে ইবোলামুক্ত ঘোষণার একদিনের মধ্যেই জানা গেছে সিয়েরা লিওনে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানবিক এবং জরুরী ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনার পরিচালক রিক ব্রেনান বললেন, সবচেয়ে ঝুঁকি বহুল তিনটি দেশ গিনি, সিয়েরা লিওন এবং লাইবেরিয়ায়, ইবোলা মুক্ত করার প্রয়াস ছিল অপরিসীম। আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করা হয় এই সংক্রমন বন্ধ করার।
তিনি বলেছেন, যদিও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং অগ্রগতি, তবুও বলতে হয় ঝুঁকি এখনও যায়নি। এর কারন হচ্ছে ইবোলার ভাইরাসটি পুনরায় আবির্ভাব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যারা ইবোলা সংক্রমন মুক্ত হয়েছেন, তাদের কাছ থেকেই আবার ইবোলার ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে অর্থাৎ ইবোলামুক্ত একজন ব্যাক্তির বীর্য থেকে তার সঙ্গীর কাছে তা সংক্রমিত হতে পারে।
কারন গত বছর কিছু এলাকা ইবোলা মুক্ত ঘোষনা করা হলেও, ১০টি সংক্রমনের ঘটনা ঘটেছিল। আর লাইবেরিয়াকে ইবোলামুক্ত ঘোষনা করার পরেও তিন জনের সংক্রমন এর কথা জানা গেছে।
ডঃ ব্রেনান আরো বলেছেন, প্রথমত ঝুঁকির পরিমান অপেক্ষাকৃত কম, তবে তা গুরত্বসহকারেই দেখতে হবে। যারা ইবোলা থেকে সুস্থ্য হয়ে উঠেছেন তাদের দেহ থেকে ভাইরাস সম্পূর্ন ভাবে নির্মূল হতে হয়ত আরো কিছু সময় লাগবে। স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা বলছেন, এই ভাইরাস থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মুক্ত করা সম্ভব হলেও ইবোলা তার শরীরে আরো কয়েক মাস থেকে যেতে পারে।
কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদেরকে এখন কয়েক সপ্তাহের জন্যে আলাদা করে রাখা হচ্ছে।
এই ঝুঁকি মোকাবেলার জন্য পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর বিশেষ কৌশল এবং পদ্ধতি মেনে চলতে হবে।
ব্রেনান বলেছেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং এর অংশীদারীত্বের সংগঠনগুলো ইবোলা মুক্ত ব্যাক্তিদের শারিরিক এবং মানসিক সাহায্যের জন্য এখনো কাজ করে যাচ্ছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুয়ায়ী ইবোলা রোগে এ পর্যন্ত ১১,৩০০ জন মারা গেছে এবং ২৮,৫০০ জন সংক্রমিত হয়েছে।