বগুড়ায় মদ্যপানে একই পরিবারের ৩সদস্যসহ ২৪ ঘন্টায় মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এগারোতে। এমন ঘটনার পরেও বগুড়ায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মদ। শহরের আনাচে কানাচে প্রকাশ্যে মাদকদ্রব্য বিক্রি হলেও তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায় না। এমন অভিযোগ জোরালো ভাবে তুলেছেন বগুড়ার বিশিষ্টজনরা।
এদিকে বগুড়ার তারকা হোটেলগুলো সরকারি লাইসেন্স নিয়ে কিশোরদের হাতেও মদ তুলে দিচ্ছে। এমন দৃশ্য প্রতিনিয়তই চোখে পড়লেও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মেহেদী হাসান বলছেন বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
মদ পানে মৃত্যুর ঘটনায় দোষিদের কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযান চলমান আছে উল্লেখ করে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ ভয়েস অফ আমেরিকাকে আরো বলেন, এই ঘটনায় পুলিশ তৎপর। অভিযান চলমান আছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। থানায় মামলা হয়েছে। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযানের সফলতা পাওয়া যাবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
বগুড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এখানে ৯০০ বৈধ কার্ডধারী মদ্যপানকারী আছে। অথচ এখানকার দোকানগুলোতে প্রতিদিন গড়ে দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ মদ কিনে থাকে। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজকে রক্ষায় কার্যকরি পদক্ষেপ না নিলে ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে মনে করছেন সুশিল সমাজ।