বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ গুলি করে কিশোরী ফেলানিকে হত্যার ৬ বছর পূর্তি হলেও তাঁর পরিবার এখনও বিচাররে অপেক্ষায় রয়েছেন। শনিবার ফেলানি হত্যাকাণ্ডের ৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে মেয়ে হারানোর সেই দুঃসহ স্মৃতি ফেলানীর স্বজনদের পাশাপাশি ভুলতে পারেননি গ্রামবাসীও। ভারতের সিকিউরিটি ফোর্স আদালত ফেলানিকে হত্যার দায় থেকে বিএসএফ এর সদস্য অমিয় ঘোষকে দুই দফা বেকসুর খালাস দেয়। সে রায় প্রত্যাখ্যান করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট করা হয়। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
নিহত ফেলানীর বাবা বলেন, যত দিন তাঁর মেয়ের বিচার হবে না ততদিন তিনি বিচারের অপেক্ষায় থাকবো। কুড়িগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আব্রাহাম লিংকন বলেন ফেলানির আত্মসীকৃতি খুনি অমিয় ঘোষ কোনোভাবেই পরিত্রাণ পেতে পারে না। ২০১১ সালে কিশোরী ফেলানিকে গুলি করে হত্যার পর তাঁর মৃতদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ৫ ঘণ্টা ঝুলে থাকার ঘটনা সমগ্র বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে নাড়া দিয়েছিল। তাঁরা এর নিন্দা এবং বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন।