প্যারিসের ব্যাঙ্গ সাপ্তাহিকীর কার্যালয়ে হামলা করে গনহত্যায় জড়িত ৩ বন্দুক ধারীকে ধরতে ব্যাপক তল্লাসী চলছে ফ্রান্স জুড়ে। পুলিশ তাদেরকে শনাক্ত করেছেন। তারা হচ্ছে ২৪ বছর বয়সী সাইদ কাউচি, তার ভাই৩২ বছর বয়সী চেরিফ এবং ১৮ বছর বয়সী হামিদ মৌরাদ।
একজন তার পরিচয়পত্র ফেলে পালায়। কাউচিরা দুই ভাই প্যারিসের আর মৌরাদ উত্তর পূর্ব এলাকার রেইমস শহরের।
এর আগে সাপ্তাহিক শার্লী এবদোহর কার্যালয়ে ঢুকে হামলা করলে ১২জন নিহত হয়।
যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বুধবার হামলার ঘটনার পর নিহতদের উদ্দেশ্যে শোক প্রকাশ করে ঘটনার নিন্দা জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন এ ধরণের সন্ত্রাসী ঘটনা একটি ঐক্যবদ্ধ সন্ত্রাসী প্রচেষ্টা। ফ্রান্সের মুসলমান নেতৃবৃন্দ ঘটনার নিন্দা জানান।
ফ্রান্সের পুলিশ সূত্রে বলা হচ্ছে-প্যারিসে, ব্যঙ্গ-সাপ্তাহিকী শার্লী এবদোহ্-র সদর কার্যালয়ে সংঘটিত হামলায় মৃত্যু হয়েছে কমসে কম ১২ জনের।কম হলেও দু’ই বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও রকেট লঞ্চার নিয়ে চড়াও হয় ঐ সাপ্তাহিকীর দফতর যে ভবনটিতে তার ভেতরে-এমোটিই জানা গিয়েছে সংবাদ মাধ্যম পরিবেশিত খবরাখবরে।পুলিশ বলেছে দূর্বৃত্তেরা এরপর দু’টি মোটোর যানে চড়ে পালায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঐ গুলিচালনার ঘটনায় পত্রিকার পরিচালক স্টে’ফান শার্বোনে এবং কম হলেও তিন কার্টুন-শিল্পী নিহত হন বলে জানা গিয়েছে।
এটিকে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যায়িত করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলান্দ সংবাদ মাধ্যমের পক্ষাবলম্বনে বলেন-বর্বোরোচিত কোনো তত্পরতাই সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে নস্যাত করতে পারবেনা।
বাম ধারার পত্রিকাটি প্রায় প্রায়ই ধর্ম এবং সংষ্কৃতি নিয়ে মন্তব্য করে থাকে।শার্লী এবদোহ বুধবারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলামিক স্টেইট নেতা আবু বাকার আল বাগদাদিকে নব-বর্ষের শুভেচ্ছার বার্তাবাহক রুপে চিত্রিত করে একটি ব্যঙ্গ-চিত্র ছেপেছে।