অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্ব শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে সবচেয়ে জরুরী আখ্যা দিলেন জি-সেভেন সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা


বিশ্ব শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে সবচেয়ে জরুরী বিষয় আখ্যা দিয়ে তা নিশ্চিত করবার আহবানের মধ্যে দিয়ে শুক্রবার জাপানে শেষ হলো বিশ্বে ৭ ধনী দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের জি-সেভেন সম্মেলন।

সম্মেলনের পাশাপাশি আউটরিচ মিটিং এ অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সম্পর্কে ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদাতাদের তথ্য নিয়ে জাপানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাচ্ছেন সেলিম হোসেন।

বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় দাগে যে সব সমস্যা রয়েছে সেগুলো তুলে ধরে সাত জাতীর নেতারা একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করছেন। তা নিরসনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথাও বলেছেন তারা সম্মেলনে।

সম্মেলনের চেয়ারপার্সন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বললেন, বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে হতাশ হলে সমস্যার সমাধান হবে না।

“এই সম্মেলনের সভাপতি হিসাবে আমি অর্থনৈতিক সমস্যা নিরসনে কি করা যায় তা আলোচনা করতে আমার সর্বোচ্চ সময় নিয়োগ করেছি। আমরা নিরাশ না হয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক পথে এগিয়ে গেলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথের বাঁধাগুলো দূর করা সম্ভব। এর সমাধানের জন্যে একে অন্যের সঙ্গে তা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে করতে হবে”।

সাত দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ৩২ পাতার একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন যাতে বিশ্ব অর্থনীতির নানা সমস্যা তা নিরসনের উপায়, জঙ্গীবাদ নিরসন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ন বিষয়গুলো উঠে আসে।

এতে উত্তর কোরিয়াকে পারমানবিক অস্ত্র ও তাদের ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষা ও উস্কানীশূলক কর্মকান্ড বন্ধ করে জাতিসংঘ নীতিমালা মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়।

এছাড়া সম্মেলনে বৃটেনের ইউরোপীয়ন ইউনিয়নে থাকা না থাকা, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

জি-সেভেন সম্মলন শেষে প্রেসিডেন্ট ওবামা শুক্রবার জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে হিরোশিমা মেরোরিয়াল পার্কে যান।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিমান থেকে আনবিক বোমা হামলায় জাপানের যে নগরী মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছিল, সেই হিরোশিমায় গিয়ে প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, হিরোশিমার দু:খজনক ঘটনা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ওবামা হিরোশিমা মেমোরিয়াল পার্কে স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পন করে নিহতদের সম্মানে নীরবতা পালন করেন। পরে সেখানে আনবিক বোমায় আক্রান্তদের অংশগ্রহণে স্মৃতিচারণ সভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় বলেন, “আমি এখানে কেন এসেছি এ প্রশ্ন অনেকে করতে পারেন, কিন্তু আমি এসেছি মানবিক বিবেচনায়।”

“আমরা এখানে এসেছি যেনো এই শহরে যখন বোমা পড়েছিল তখন কি অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তা কল্পনা করা সম্ভব হয়”।

এদিকে সাত জাতির আনুষ্ঠানিক সম্মেলন শেষে নাগোয়ায় অনুষ্ঠিত হয় জি-সেভেন আউটরিচ বৈঠক যাতে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের পাশাপাশি অংশ নেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হয়ে নাগোয়ায় সংবাদ সংগ্রহ করতে আসা অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বাংলা নিউজ ২৪ এর সাংবাদিক মেনন মাহমুদের সঙ্গে সেখানে কি হল তা জানতে কিছুক্ষন আগে আমরা কথা বলি।

XS
SM
MD
LG