উদার অভিবাসন নীতির কারণে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বরাবরই চাপের মধ্যে ছিলেন। পরপর তিনটি সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে শরনার্থীরা যুক্ত থাকায় তার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এসব সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য মার্কেলের উদার নীতিকেই দায়ী করা হচ্ছে।
বন ইউনিভার্সিটির রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ডেকার বলেছেন, ক'দিন আগে ট্রেনে যে হামলা চালিয়েছিল সেই আফগান বালকের আগমন, সরাসরি মার্কেলের এবং তার শরনার্থী বিষয়ক উদার নীতির সঙ্গে যুক্ত। জার্মানির জনগণ শরনার্থী নিয়ে এখন নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে।
শরণার্থী ইস্যুটি ইউরোপে খুবই স্পর্শকাতর। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ব্রেক্সিট গণভোটে হেরে গেছেন এই ইস্যুতেই। যার পরিণতিতে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের সমালোচকরা অভিবাসন নীতি নিয়ে সমালোচনামুখর হয়েছেন। যার প্রভাব আগামী নির্বাচনে পড়তে পারে। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানিতে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এখানে বলে রাখা ভাল, মার্কেলের ইউরোপীয় মিত্ররা ইরাক সিরিয়া ও আফগানিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু অ্যাঙ্গেলা মার্কেল শরণার্থীদের জন্য দরজা বন্ধ করেননি।
গত দু’বছরে প্রায় ১০ লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেছে জার্মানিতে। শরণার্থী সঙ্কট নিয়ে মার্কেলের জনপ্রিয়তায় যে ধ্বস নেমেছিল তা ব্রেক্সিট গণভোটে কিছুটা ফিরে পেয়েছিলেন।
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক ডেকার মনে করেন-ফ্রান্সের নিস শহরের মতো হামলা সেই অর্জনকে দ্রুত শেষ করে দিতে পারে।
উল্লেখ্য যে, জার্মানিতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা আরও আট ভাগ বেড়েছে। দু’সপ্তাহ আগে জার্মান টেলিভিশন জেডডিএফ ‘পলিটিক্যাল ব্যারোমিটার’ শীর্ষক এক জরিপে দেখিয়ে ছিল যে, ৬৯ভাগ জনগণ হামলার আশঙ্কা করছেন। সাম্প্রতিক ঘটনার পর এই আশঙ্কা ৭৭ ভাগে পৌঁছেছে। লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী।