জার্মানিতে কারা হেফাজতে সন্দেহভাজন জঙ্গী জাবের আল বাকেরের মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে। কতৃপক্ষ দাবি করেছে, বাকের আত্মহত্যা করেছে। তাদের ভাষ্য, আত্মহত্যার আগে থেকেই অনশনে ছিল এই সিরীয় নাগরিক। লিপজিগের কারাগারে বাকেরের মৃত্যুর ঘটনায় তৈরি হয়েছে বিস্ময়। বলা হচ্ছে, তাকে যথেষ্ট পরিমাণে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়নি। ঘটনার দ্রুত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি করেছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর এমপিরা বলছেন, এটি রীতিমতো ট্র্যাজেডি। লিপজিগের কারাগারের প্রধান রফ জ্যাকব বলেছেন, তিনি এ ঘটনায় হতবাক। তিনি বলেন, টি-শার্ট গলায় পেঁচিয়ে বাকের আত্মহত্যা করেছে।
ডিফেন্স আইনজীবী অ্যালেক্সজান্ডার হাবনার, এ ঘটনাকে জুডিশিয়াল স্ক্যান্ডাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আত্মহত্যার ঝুঁকি আছে জেনেও বাকেরকে যথেষ্ট পরিমাণে নজরে রাখা হয়নি। জার্মানির পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী ম্যানুয়েল সুয়েসিগ এক টুইট বার্তায় বলেন, পৃথিবীতে ঘটছেটা কি? দেশটির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হ্যান্স জর্জ ম্যাসেন বলেন, তারা নিশ্চিত হয়েছেন বার্লিন বিমানবন্দরে হামলার পরিকল্পনা ছিল বাকেরের। ৪৮ ঘন্টার অভিযানের পর সোমবার বাকেরকে গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় জার্মান পুলিশ। লিপজিগ শহরের একটি ফ্ল্যাট থেকে দুই জন সিরীয় নাগরিকের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই বছর আগে জার্মানিতে প্রবেশ করা বাকের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিল।
লন্ডন থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর রিপোর্ট।