অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ইসরাইল ও হামাসের অতীতের লড়াইগুলি থেকে এবারের লড়াইয়ে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে


মঙ্গলবার ফিলিস্তিনি হামাস আন্দোলন হুমকি দিয়েছে যে তেলআবিবে তারা তাদের রকেট হামলা দ্বিগুণ করবে কারণ ইসরাইল গাজায় তাদের বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে। যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের আশাকে পণ্ড করে উভয় পক্ষই এই সংঘাত চালিয়ে যাচ্ছে। ১০ই মে থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৬০ শিশুসহ বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।সে তুলনায় ইসরাইলি হতাহতের সংখ্যা অনেক কম – এ পর্যন্ত ছয় বছরের শিশুসহ মোট দশজন নিহত হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে মূলত ইসরাইলের অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে। সহিংসতার দ্রুত প্রাদুর্ভাব, যা এখন দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রবেশ করেছে, বিস্মিত করেছে অনেক পর্যবেক্ষককে, যদিও অন্যরা বলছেন যে এই সংঘর্ষের কারণ হিসাবে স্পষ্ট বিচ্ছিন্ন কারণ রয়েছে এবং উত্তপ্ত লড়াই অবশ্যম্ভাবী ছিল।

ইসরাইল এবং গাজা ভিত্তিক ইসলামপন্থী হামাস আন্দোলনের মধ্যে শত্রুতা ২০০৯, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে যুদ্ধে পরিণত হয়।তবে কূটনীতিক ও পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অস্ত্রের এই সর্বশেষ সংঘর্ষ ভিন্ন ধরণের। ব্রিটেনের চ্যাথাম হাউসের সহযোগী গবেষক ইয়োসি মেকেলবার্গের মতে হামাস জেরুজালেম তেল আভিভ ও অন্যান্য প্রধান শহর ছাড়াও ইসরাইলের অভ্যন্তরে ঘন জনবহুল অঞ্চলে বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। পশ্চিমা কূটনীতিকরা সন্দেহ করছেন, হামাসের মধ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের কারণে এবারের সংঘর্ষের ধরণ ভিন্ন। তারা বলছেন গাজায় এই আন্দোলনের রাজনৈতিক নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার, যিনি ইসরাইলের সাথে দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কূটনীতি অনুসরণ করার পক্ষে এবং গাজায় সামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফের মধ্যে হামাস নেতৃত্বের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। কূটনীতিকরা জানিয়েছেন কাতারে অবস্থানরত হামাসের সামগ্রিক রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়েহের পাশাপাশি, দেইফ আরও বেশি সংঘাতের পক্ষে ছিলেন।

XS
SM
MD
LG