সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ ৭ জেলার হাজার হাজার হেক্টর ফসলি জমি এখন পানির নিচে। আর এই অবস্থায় বিশাল এলাকাজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। সরকারী পর্যায়ে থেকে যে অর্থ এবং ত্রাণ সাহায্য দেয়া হয়েছে তাও অনেক এলাকায় এখন পর্যন্ত পৌছেনি। যাও পৌছেছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরকারী হিসেবেই যতো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তার ৭ ভাগের এক ভাগ মানুষ ত্রাণ সাহায্য পাবেন বলে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে খোলা বাজারে বা ওএমএসএ যে চাল বিক্রি করা হচ্ছে তাও সবাই পাচ্ছেন না-এমনটাই ঘটেছে সুনামগঞ্জ এলাকায়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন কয়েকজন।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামারুজ্জামান কামরুল ত্রাণ সহায়তা এবং ওএমএসএর চাল বিতরণ পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, যা চাল এসেছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য।
বিশাল হাওর এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় এর ক্ষয়ক্ষতি বড় মাত্রায় এবং ব্যাপক। এই ক্ষয়ক্ষতি এবং স্বল্প -মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন হাওর অঞ্চল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত সংস্থা হাওর বাঁচাও আন্দোলন-এর প্রধান অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।
এদিকে, কয়েকদিন হাওরে মাছ ধরা বন্ধ থাকার পরে কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে।
ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।