অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

২০২১ সালের মধ্যে হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা নেই


নতুন বছরের শুরুতে অনেক দেশ করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করলেও সারা বিশ্বের সকল মানুষের ২০২১ সালেই ‘হার্ড ইমিউনিটিতে’ পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখছেন না স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে। রয়টার্স নেক্সট কনফারেন্সে অংশ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আউটব্রেক অ্যালার্ট অ্যান্ড রেসপন্স নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ডেল ফিশার নিম্নআয়ের দেশগুলোর টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা, অনেক জায়গায় মানুষের মধ্যে টিকা নিয়ে আস্থার অভাব, টিকা সংরক্ষনে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা এবং ভাইরাসের বিবর্তনকে এর কারণ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন বিশ্বকে করোনা মুক্ত করতে হলে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করতে হবে যেখানে করোনার টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মানুষকে হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছাতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে এমন একটি পরিস্থিতিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ফিশার বলেন কোনও কোনও দেশ হয়ত ‘হার্ড ইমিউনিটি’ এর অবস্থানে পৌঁছে যাবে, কিন্তু তাতেও তারা পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারবে না, বিশেষ করে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে।এখন পর্যন্ত টিকা বিতরণ পরিস্থিতির যে হালনাগাদ তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে এর চেয়ে ভালো কিছু আর আশা করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই কর্মকর্তা। করোনা ভাইরাস ভবিষ্যতে নিজেকে কতটা বদলে ফেলতে পারে সে বিষয়টি এখনও মানুষের অজানা বলে উল্লেখ করে ফিশার সতর্ক করেছেন যে ভাইরাসটির অনেক বেশি মিউটেশন হলে এখনকার টিকা আর কার্যকর নাও থাকতে পারে।


তবে বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনে অংশ নিয়ে বলেছেন প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়া গেলে হয়ত পৃথিবী থেকে করোনা ভাইরাসকে সমূলে উৎপাটন করা এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও একদিন এ থেকে বিশ্ব মুক্তি পাবে।এ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন এর আগে বিশ্ব পর্যায়ক্রমে কলেরা, বসন্তসহ বহু সংক্রামক ব্যাধির হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৬ জন করোনা রোগী প্রাণ হারিয়েছেন এবং নতুন ৭১৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

XS
SM
MD
LG