অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সমস্যা ও তা সমাধানে করণীয়


প্রতি বুধবারের নিয়মিত অনুষ্ঠান হ্যালো ওয়াশিংটনে স্বাগত জানাচ্ছি আপনাদেরকে। আজকের বিষয় “বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ও দক্ষিন এশিয়ান শ্রমিকদের সমস্যা ও তা সমাধানে করণীয়”। এই মুহুর্তে বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। খবরের কাগজে নিশ্চয় পড়েছেন অনেকে মাত্র একদিন আগে মালয়েশিয়া থেকে ২৫৫ জন বাংলাদেশী শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরো নানা ধরনের সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অনেক কষ্ট ত্যাগ সহ্য করে প্রিয় স্বদেশের জন্য, প্রিয় জনদের মুখে হাসি ফোটাতে তারা বিদেশে পড়ে আছেন। এসব নিয়ে কথা বলছেন, স্রোতাদের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন; সমস্যা সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে কথা বলছেন তিনজন বিজ্ঞ জন, যারা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের নিয়ে কাজ করছেন বহুদিন ধরে।

এই আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সৈয়দ সাইফুল হক, চেয়ারম্যান, ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন অব দা রাইটস অব বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টস, হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ, নির্বাহী বোর্ড সদস্য, বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সীজ (বায়রা)এবং এচিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার, যিনি মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সকল দেশ সফর করে সরেজমিন প্রতিবেদন করেছেন এসব বাংলাদেশ শ্রমিকদের জীবন নিয়ে।

আলোচনা চলাকালে মালয়েশিয়া এবং সৌদি আরব থেকে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশীরা আমাদেরকে প্রচুর টেলিফোন করেছেন, এখনো করছেন, ফেসবুক ও ইমেইলে প্রশ্ন পাঠিয়েছেন।

মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে তারা জানালেন সেখানে অবস্থানরত প্রায়৩০ লক্ষ বাংলাদেশীর মধ্যে ২০ লক্ষেরও বেশী অবৈধ। যখন এসেছিল তখন হয়ত পর্যটক ভিসা বা ষ্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে গিয়েছিল। পরে কাজে যোগদিয়ে এক সময় অবৈধ হয়ে যায়। আর এখন ধরাপড়ার ভয়ে য়ে যেখানে পারছে লুকিয়ে থাকছে। দেশে ফেরা বা তাদের বিষয় নিয়ে মালয়েশিয়ান সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করতে সেখানকার বাংলাদেশী দূতাবাসের কোনে সহযোগিতা নেই বলে জানান অধিকাংশ প্রবাসী।

একই রকম অবস্থা সৌদি আরবে কর্মরত বাংলাদেশীদেরও। অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকজন সৌদী প্রবাসী জানানতাদের কাগজপত্র ঠিককরা, আকামা তৈরী করাসহ নানা বিষয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে একদিকে যেমন বিপুল অর্থ খরচ হয় অপরদিকে হতে হয় হয়রানী। সৌদী আরবের বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতার ব্যপারে তারা মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মতো একই অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ দূতাবাস কর্মকর্তারা তাদেরকে তেমন সহযোগিতা করেন না।

অনুষ্ঠানের আলোচকরা এসব সমাধানে নানা পরামর্শ দেন। সরকার ও রিক্রুটিং এজেন্সীর সমন্বয়, বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে বেশী সংখ্যক বাংলাদেশী শ্রমিক কাজ করেন এবং বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেন তাদের জন্য দূতাবাসবাস ও হাই কমিশনে বিশেষ শাখা খোলা বা কর্মকর্তাদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া সহ বিভিন্ন পরামর্শ রাখা হয়।
XS
SM
MD
LG