হ্যালো ওয়াশিংটনের বিষয়: “অভিবাসন সংকট ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি”। বিষয়টি নিয়ে বিশ্লষণ করছেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সভাপতি ড. সিআর আবরার, প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ এবং দি টেলিগ্রাফ পত্রিকার দিল্লী ব্যুরো প্রধান জয়ন্ত রায় চৌধুরী।
আজ সকালের এনপিআর খবরে শুনলাম ২ বাংলাদেশীর হাঙ্গেরী ঢোকার আবেদন নাকচ করে তাদেরকে বিহস্কার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে, অভিবাসন সংকট নিরসনে কোটা প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈঠক। ব্রাসেলসে ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী ও অভিবাসন প্রত্যাশীদের ভাগ করে নেয়ার বিষয়ে একমত হতে পারেনি ইইউভুক্ত দেশগুলো। বরাবরের মতো প্রস্তাবের বিরোধীতা করেছে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও চেক রিপাবলিকসহ পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি দেশ। সিদ্ধান্তের জন্য এখন অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৮ই অক্টোবরের বৈঠক পর্যন্ত।
হাঙ্গেরি সার্বিয়ার সাথে তার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার একদিন পর অভিবাসীরা নতুন পথে ক্রোয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছে। এদের অনেকেই আশা করছেন যে তার জার্মানিতে পৌছাতে পারবেন। এদিকে ক্রোয়েশিয়া পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে তাদের দেশে এভাবে ঢুকে পরাটা তারা মেনে নেবে না। ইইউ দেশগুলোতে মধ্যে অভিবাসীদের বণ্টন করে দেওয়ার আলোচনা ব্যর্থ হওয়া এবং সীমান্ত পথ গুলে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে অভিবাসী সংকট নিয়ে ইউরোপের মধ্যে একটা তিক্ত বিভক্তি দেখা দিচ্ছে।
এদিকে হাঙ্গেরির সাথে সার্বিয়ার সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়ার পর সেখানে শত শত মানুষ সেখানে সারারাত খেলা আকাশের নীচে রাত পার করছে। গতকাল মঙ্গলবার হাঙ্গেরি ঐ এলাকায় জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে। অভিবাসন সংকট নিরসনে সমঝোতায় পৌঁছতে না পারলে ইউরোপীয় দেশগুলোর সীমান্ত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
তো এই অভিবাসি সংকটের নানা দিক নিয়ে প্রশ্ন ও মন্তব্য করার জন্যে আমাদের স্রোতারা লাইনে আছেন। একজন স্রোতার প্রশ্ন নিয়েই আলোচকদের কাছে আসতে চাই।