অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

হংকং আন্দোলনে বিদেশী শক্তির ইন্ধন রয়েছে: চীন


হংকং এর গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের হিংসাত্মক সংঘাত নিরসণে সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার ও আন্দোলনকারীদের আলোচনার মাধ্যমে এই আধা-শায়ত্বশাষিত চীনা ভূখন্ডের অধিবাসিরা যেনো একটি শান্তিপূর্ন সমাধানে পৌঁছাতে পারেন, এই আশা করছেন সকলে।

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে এভাবেই উত্তপ্ত হংকং এর রাজপথ। গত কয়েকদিন শহর রয়েছে জুড়ে চরম উত্তেজনা। মংকক বানিজ্য শহরটি পুলিশ আর গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় বিপর্যস্ত।

লাঠিপেটা, মারধোরের ন্যায় সাধারন পুলিশি ব্যাবস্থা ছাড়াও আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে পুলিশ রাস্তায় লোহার বাঁধা ফেলে আটকানোর চেষ্টা করেন তাদেরকে। দুপক্ষের সংঘর্ষে আন্দোলনকারীরাসহ বেশ কয়েকজন পুলিশও আহত হন। আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশি প্রহারের কড়া সমালোচনা হয়।

জশু ওং-ওই আন্দোলনকারী সংগঠনসমূহের একটি, স্কলারিজম এর নেতা। ভয়েস অব আমেরিকাকে জশু জানান, আলোচনার কথা ঠিক হবার পরও তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

“বিশেষ করে এই পুলিশি এ্যাকশনের কারনে আমরা রাস্তায় অবস্থান নেয়ার সংকল্প দৃঢ় করেছি। আমি জানিনা এই আন্দোলনের ভবিষ্যৎ কি; কিন্ত আমরা আমাদের আদর্শে অটল থেকে মংকক, এ্যাডমিরাল্টি ও কজওয়ে বে দখলে রাখবো”।

চাইনীজ ইউনিভার্সিটি অব হংকং এর অধ্যাপক উইলি ল্যাম বলেন আলোচনার ঠিক পরপরই ভালো কোনো ফলাফল আসবে বলে মনে হয় না।

“ফলাফল কি হবে তা নিয়ে অধিকাংশ বিশ্লেষকের আশা খুব কম। সম্ভবত আলোচনা সম্পন্ন হওয়ার আগেই তা ভেঙ্গে যাবে। এবং তার পরে আরো বেশী মানুষ এই আন্দোলনের পক্ষে যোগ দেবেন”।

এই সন্দেহ আরো গভীর হয়েছে যখন ওই আলোচনায় চেং কওক হন’কে আলোচনার সভাপতি নিয়োগ করা হয়। কারন চেং, হংকং এর প্রধান নির্বাহী লিউং এর নির্বাচনের সময় উপদেষ্টা ছিলেন। চেং বলেন,

“আমি আমার নিজস্ব মতামত দেবো না; তবে আলোচনা যাতে সফল হয়, দুপক্ষ যাতে সমঝোতায় আসতে পারে সেই চেষ্টা করছি”।

হংকং এ কয়েক সপ্তাহ আগে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবীতে ছাত্র ছাত্রীদের দ্বরা শুরু হওয়া এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষেরা। চীনা কৃতপক্ষ অভিযোগ করছে এই আন্দোলনের পেছনে বিদেশী শক্তির ইন্ধন রয়েছে।

XS
SM
MD
LG