আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশ, তুরস্ক এবং ইথিওপিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই দেশগুলোর বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্পর্কে কোনোক্রমেই জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল উপেক্ষা করে, নির্লিপ্ত থাকতে পারে না। এ দেশগুলোর ব্যাপারে অবিলম্বে নজর দেয়ার জন্য হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের প্রতি দাবি জানিয়েছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিবৃতিতে বলেছে, অসংখ্য হামলার ধারাবাহিকতায় গুলশানে সশস্ত্র জঙ্গীদের হামলার ঘটনা ঘটেছে। আর ওই ঘটনার আগে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার উপরে আঘাত ও হামলার ধারায় ধর্মনিরপেক্ষ, ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, সমকামী অধিকার সক্রিয়বাদীদের অন্তত ৫০ জনকে হত্যা করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রথমদিকে কর্তৃপক্ষ তৎপর ও মনোযোগী না হলেও পরবর্তীকালে আন্তর্জাতিক সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ নির্বিচারে, ইচ্ছামাফিক গণগ্রেফতার চালায়। অনেকে এতে নিহতও হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম ও নির্যাতনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আইন-শৃংখলা রক্ষাবাহিনীর। আর এসব ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মকানুন বা আইন মানা হয় না রাজনৈতিক কারণে। সংস্থাটি জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে এ ব্যাপারে অবিলম্বে সক্রিয় হবার আহবান জানিয়েছে।
তুরস্কে চলমান নির্বিচারে জেল, জুলুম, নির্যাতন এবং ইথিওপিয়ার শান্তিপূর্ণ গণবিক্ষোভে নির্বিচারে গণবাহিনীর হত্যাযজ্ঞে ৫ শতাধিক নিহত ও অসংখ্য আহত হওয়ার ঘটনায়ও জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে ঢাকা থেকে আমীর খসরুর রিপোর্ট।