রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলার তিন দিনব্যাপী শুনানী দ্য হেগে শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। গত ১১ নভেম্বর গাম্বিয়া ওই মামলাটি দায়ের করেছে ইসলামী সম্মেলন সংস্থা বা ওআইসি’র পক্ষে। গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রীএবং এটর্নি জেনারেল আবুবাকর তামবাদাউ তার দেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন। অন্যদিকে, মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি নেতৃত্ব দেবেন তার দেশের পক্ষে। বাংলাদেশ এই মামলার সরাসরি অংশগ্রহণকারী পক্ষ না হলেও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হকের নেতৃত্বে কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং বিশেষজ্ঞদের একটি প্রতিনিধি দল ওই শুনানীতে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া কানাডা বা ওআইসি’র পক্ষ থেকেও প্রতিনিধিরা এবং বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সুশীল সমাজের সদস্যরা শুনানীর জন্য দ্য হেগে উপস্থিত থাকবেন।
শুনানীর প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত দিক সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন আইসিজে’র প্রসিকিউশন দলের সাথে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার আইনগত বিষয়াদি নিয়ে সম্পৃক্ত এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আর শুনানীর বিভিন্ন দিক এবং সম্ভাব্য বিষয়গুলো সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর।
এই শুনানীর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ এবং জাতিগত নিধনের জন্য মিয়ানমারকে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যদিও বিশ্লেষকগণ মনে করছেন, আগামী বছরের মিয়ানমারের নির্বাচনকে সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের জন্যই অং সান সুচি দ্য হেগে যাবার মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আইসিজে-তে অং সান সুচির নেতৃত্বদানকে স্বাগত জানিয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ্য মিং থুন সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, এটি তাদের জন্য একটি বড় সুযোগ এবং তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য একটি প্রচ্ছন্ন আশীর্বাদ।
ঢাকা থেকে আমীর খসরু