পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য প্রত্যাহার তরান্বিত করায়, সংঘর্ষে লিপ্ত আফগানদের মধ্যে শান্তি চুক্তির ব্যবস্থা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এখন আর কোন রকম “দরকষাকষির শক্তি নেই”। মঙ্গলবার রাতে প্রচারিত পিবিএস’এর নিউজ আওয়ারকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ইমরান খান বলেন, “ আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সব কিছু এলোমেলো করে ফেলেছে”।
খান জোর দিয়েই বলেন যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো মিত্রদের আফগানিস্তানে দেড় লক্ষ সৈন্য ছিল তখনই সেখানে তালিবান বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক যুদ্ধ বন্ধ করার চেষ্টা না করে তাদের উচিত্ ছিল রাজনৈতিক নিস্পত্তির দিকে যাওয়া। তিনি এই আমেরিকান সংবাদ সম্প্রচারককে বলেন “ কিন্তু যখন তারা সৈন্য সংখ্যা মাত্র ১০,০০০’এ নামিয়ে এনেছে, সে দেশ ত্যাগের একটি তারিখও দিয়েছে, তালিবান মনে করলো তারা জয়ী হয়েছে। আর তাই এখন তালিবানকে আপোষ রফায় নিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে”।
এ মাসে আরও আগের দিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, “আমরা আফগানিস্তানে জাতি নির্মাণের কাজে যাইনি। এটি একমাত্র আফগান জনগণের অধিকার ও দায়িত্ব যে তারা তাদের ভবিষ্যত্ সম্পর্কে এবং কি ভাবে দেশ পরিচালনা করবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে”। মে মাসের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যরা আনুষ্ঠানিক ভাবে আফগানিস্তান ত্যাগ শুরু করার পর থেকে তালিবান গোটা আফগানিস্তানের বিশাল এলাকা দখল করেছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বানিজ্যিক পথ। খান তাঁর সাক্ষাত্কারে বলেন , “আমরা এখন এই অবস্থানে রয়েছি কারণ সামরিক সমাধান ব্যর্থ হয়েছে”।
যুক্তরাষ্ট্র এবং আফগান কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করে আসছে যে পাকিস্তান তালিবানকে সে দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আফগানিস্তানের ভেতরে হামলা করার সুযোগ দিয়েছে। তবে এই অভিযোগ পাকিস্তান অস্বীকার করে আসছে।