অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারত ও চিনের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিতে দু'পক্ষই রাজি হয়েছে


ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ এবং সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নিতে দু'পক্ষই রাজি হয়েছে। গতকাল দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বৈঠকের পর আজ রবিবার ভারতের বিদেশ দপ্তর এই ঘোষণা করেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরে লাদাখের কাছে এবং ভারত-চিন সীমান্তে অন্যত্র উত্তরাখণ্ড ও সিকিমের দিকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ছোটখাটো সংঘর্ষ এবং সমস্যা লেগেই ছিল।

ডোকলামে দীর্ঘ ৭৩ দিন ধরে দুই বাহিনীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলেছে। সাময়িক ভাবে তা মিটলেও একটা সময় এমন মনে হয়েছে যে ছোটখাটো হলেও একটা যুদ্ধ হয়ে যেতে পারে। সেটা আরও বেশি বোঝা গেছে যখন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, চিন তার দিকে প্রচুর সেনা সমাবেশ করছে এবং ভারী কামান, সাঁজোয়া গাড়ি ও অন্যান্য সামরিক সাজ-সরঞ্জাম নিয়ে এসে জড়ো করছে। চিনা খবরের কাগজে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, তিনি লাল ফৌজকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বারবার দাবি করেছেন, ভারত ও চিনের সীমান্তে কী হচ্ছে সেটা সরকার স্পষ্ট করে জানাক। এর পর ভারত চিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেয় এবং শেষ পর্যন্ত ভারত-চিন সীমান্তে চিনের ভিতরে মোল্ডায় দুই পক্ষের সেনাবাহিনীর কর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। গতকাল বেলা ১১টার সময় বৈঠক শুরু হয়, দফায় দফায় সারাদিনে অনেকক্ষণ ধরে বৈঠক চলে। আজ ভারতের বিদেশমন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে সব সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে এ কথা জোর দিয়ে বলা না গেলেও এটুকু অগ্রগতি হয়েছে যে, দুই দেশ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে রাজি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে, এই বছরই ভারত আর চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে দুই দেশই ভারত ও চিনের মধ্যে বর্তমানে যেসব চুক্তি রয়েছে তারই ভিত্তিতে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে চায়।

please wait

No media source currently available

0:00 0:02:11 0:00
সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG