অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতে করোনা আক্রান্ত ১০৭১ জন


ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আজ সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১০৭১ জন, চিকিৎসার পরে সেরে উঠেছেন ১০০ জন, এ পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২৯ জন। দেশব্যাপী ২১ দিনের লকডাউন আজ ৬ দিনে পড়েছে। করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর ভয়ে দিশাহারা লক্ষ লক্ষ শ্রমিক দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কর্মক্ষেত্র থেকে গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।

গত ২৪শে মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার সময়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে যেখানে আছেন, সেখানেই যেন থেকে যান। বাড়ি থেকে বেরোনো চলবে না। কিন্তু তখনও তিনি স্পষ্ট করে বলেননি, দিন এনে দিন খাওয়া শ্রমিকদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কী হবে। ফলে আতঙ্কিত শ্রমিকরা যে যেভাবে পারেন নিজেদের গ্রামের দিকে রওনা হন। কেউ পৌঁছেছেন, কেউ এখনো পথে। তাঁদের এই চরম দুর্ভোগ ছাড়াও তাঁদের যাতায়াতের ফলে আর এক বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওঁরা গ্রামে ফিরে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মেলামেশা করলে করোনার সংক্রমণ আরো অনেক বেড়ে যেতে পারে।

সুপ্রিম কোর্ট আজ জানতে চেয়েছে, সব মিলিয়ে এই প্রবাসী শ্রমিকদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে, শহর থেকে গ্রামমুখী এই জন স্রোত নিয়ন্ত্রণে কোন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছে কিনা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চ আগামীকাল মঙ্গলবার এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চেয়েছে।

এদিকে কাল থেকেই এক শ্রেণীর সংবাদ চ্যানেলের খবর ছিল, ঘরমুখী শ্রমিকদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে সরকার ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ভাবছে। আজ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এটা রটনা ছাড়া কিছু নয়। সরকার এমন কিছুই ভাবছে না। ২১ দিনের লকডাউন ১৪ই এপ্রিলেই শেষ হবে।

ইতোমধ্যে লকডাউন চলাকালে মদের দোকান বন্ধ থাকায় সপ্তাহ খানেক ধরে নেশা করতে না পেরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তেলেঙ্গানায় ৪ জন আর কেরালায় ৫ জন আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর। এর প্রেক্ষিতে কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন থাকলে রাজ্য সরকারের আবগারি বিভাগ অনলাইনে বাড়িতে মদের বোতল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এর বিরোধিতা করে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত বিজ্ঞানভিত্তিক নয়। কেরালার বিরোধী দলগুলিও এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এরই মধ্যে হায়দরাবাদে ৭৪ বছর বয়সী বৃদ্ধের করোনায় মৃত্যুর পর তাঁর শেষকৃত্যে বাড়ির কাউকে থাকতে দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে তাঁকে সমাহিত করার কাজ সম্পন্ন হয়। তাঁর শোকাহত পরিবারের সকলে তখন কোয়ারান্টাইনে ছিলেন।

XS
SM
MD
LG