অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সমগ্র মানব জাতি এখন এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে: ভারতের প্রধানমন্ত্রী


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, জনগণ বীরত্বের সঙ্গে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে। এই লড়াই কিন্তু কারো একার নয়, সমগ্র দেশবাসীর সম্মিলিত সংগ্রাম। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় জাতির উদ্দেশ্যে ১১ মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, সমগ্র মানব জাতি এখন এক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আমরা ভারতের সর্বত্র লকডাউন ঘোষণা করেছি এবং আপনারা সেই নিয়ম মেনে ঘরবন্দী হয়ে রয়েছেন। কেউ কোথাও বেরোতে পারছেন না বলে হয়তো ভাবছেন আপনারা একা হয়ে পড়েছেন, আপনাদের পাশে কেউ নেই। সেটা ঠিক নয়। আমরা সকলে একসঙ্গে রয়েছি, শুধু সামাজিক দূরত্ব মেনে আলাদা আলাদা জায়গায়।

তিনি বলেন, ১৩০ কোটি ভারতবাসী যে ঐক্যবদ্ধ, তা বোঝানোর জন্য আসুন আমরা একটা অভিনব কর্মসূচি পালন করি। আগামী রবিবার ৫ই এপ্রিল রাত ঠিক ৯টার সময় আমরা সকলে একযোগে আমাদের ঘরের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে হাতে একটি প্রদীপ, কিংবা মোমবাতি, কিংবা টর্চ, অথবা মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট, এরকম যে কোনও একটা আলো নিয়ে বাড়ির বারান্দায় অথবা দরজার সামনে এসে দাঁড়ান। এই ভাবে ঠিক ৯ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকুন। এই আলো সারা ভারতের, সারা জগতের অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ে আশার আলো দেখাবে। তবে মনে রাখবেন, কেউ যেন ঘরের বাইরে বেরোবেন না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবেন। ১৩০ কোটি ভারতবাসী যাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রামের প্রেরণা পায়।

গতকালই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, আজ সকাল ৯টায় তাঁর ভিডিও বার্তা সম্প্রচার করা হবে। তিনি কী ঘোষণা করেন, শুনতে আগ্রহী ছিলেন সকলেই। এই বার্তার পর কংগ্রেস নেতা শশী তারুর বলেছেন, কাজের বদলে নাটক করাই বেশি পছন্দ করেন। কখনো বলেন হাততালি দিতে, কখনো থালা-বাটি বাজাতে, কখনো আলো হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে। এতে কাজের কাজ কিছু কি হবে? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু অবশ্য করোনা মোকাবিলায় মোদীর ভূয়সী প্রশংসা করেছে। হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানম ঘেব্রিয়েসুস জেনিভায় সংস্থার সদর দফতরে বলেন, ভারত সরকার করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেটে খাওয়া মানুষের জন্য যে আর্থিক প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এ বিষয়ে ভারত সারা বিশ্বের পথিকৃত বলা যেতে পারে। হু-এর কোভিড নাইন সংক্রান্ত দূত ডেভিড নাভারো বলেছেন, ইতালি ও আমেরিকার দেরিতে পদক্ষেপের ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, ভারত আগে থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় সেটা এড়াতে পেরেছে।

এদিকে এই মুহূর্তে ভারতীয় প্রশাসনের একটা বড় মাথাব্যথা দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগী জামাতের যোগদানকারীদের খুঁজে বের করা। তাঁরা সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছেন এবং রোগ ছড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে জামাতে যোগ দিতে আসা ৪১টি দেশের ৯৬০ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইন্দোনেশিয়ার, ৩৭৯ জন, তার পরে বাংলাদেশের ১১০ জন।

XS
SM
MD
LG