অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্ব করোনা পরিস্থিতি: আক্রান্ত ১১৩১৭১৩, মৃত ৫৯১৮০ জন


জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের সর্ব সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, গোটা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন এগারো লাখ একত্রিশ হাজার সাতশো তেরো জন, প্রাণ হারিয়েছেন ৫৯ হাজার একশো চল্লিশ জন। যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দু'লক্ষ আটাত্তর হাজার চারশো আটান্ন জন। একমাত্র নিউইয়র্ক শহরেই এক হাজার আটশো ষাটষট্টিজন মারা গেছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার সব আমেরিকানকে এখন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় না এমন মাস্ক পরার কথা বলছে যাতে করে COVID-19 এর সংক্রমণ রোধে সাহায্য করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র থেকে দেয়া নতুন নির্দেশনাগুলো গতকাল প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন। ট্রাম্প অবশ্য বলছেন, মাস্ক পরার ব্যাপারটা সম্পুর্ণ নিজের , কেউ পরতে পারেন, কেউ পরতে পারেন না। তিনি নিজে পরবেন না বলে জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সার্জেন জেনারেল ড. জেরোম অ্যাডামস বলেন মাস্ক পরাটা অবশ্য ভাল যাতে এই সংক্রমণ রোধ করা যায় কারণ অনেক সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যেও এর পরিস্কার কোন লক্ষণ দেখায় যায় না।

তিনি বলেন, এখন আমরা সাম্প্রতিক গবেষণায় জেনেছি যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কিছু ব্যক্তির লক্ষণ বোঝা যায় না আর সে জন্যই তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে মিশলে এই রোগ সংক্রমিত হতেই পারে।

প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা জোর দিয়েই বলেন যে তাদের উচিৎ হবে না চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার যোগ্য মাস্ক পরা কারণ সে রকম মাস্কের অভাব আছে। প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন যে তিনি Defense Production Act এর আ্ওতায় দূর্লভ চিকিৎসা সামগ্রীর রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরণের সামগ্রী অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য আমাদেরই প্রয়োজন। এরই মধ্যে কানাডা অবশ্য আমেরিকার প্রতিবেশি এবং মিত্র দেশগুলোতে মাস্ক সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গতকাল বলেন আমাদের দু'দেশের অর্থনীতির সমন্বয়টা সীমান্তের উভয় পাশের জন্য প্রযোজ্য। চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবার আন্ত-সীমান্ত বানিজ্য বন্ধ করে দেয়া কিংবা কমিয়ে দেয়া বড় রকমের ভুল হবে।

এ দিকে N95 রেসপিরেটারের প্রধান উৎপাদনকারি কোম্পানি 3M ও ট্রাম্প প্রশাসনের এই নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে বিচলিত বোধ করছে। মিনেসোটা ভিত্তিক এই বহুজাতিক কোম্পানি বলছে যে কানাডা এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রেস্পিরেটার সরবরাহ বন্ধ করলে এর মানবিক প্রতিক্রিয়া হবে মারাত্মক।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে এক লক্ষ থেকে প্রায় আড়াই লক্ষ লোক এই মহামারিতে মারা যেতে পারে হোয়াইট হাউজের এই হিসেবের মধ্যেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে সংক্রমণের হার ক্রমশই বাড়ছে। হোয়াইট হাউজের করোনাভাইরাস বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়কারি বলেছেন যে নিউইয়র্ক সিটির মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মেট্রোপলিটান এলাকাগুলোতে যদি এ রোগের আরো সংক্রমণ ঘটে তবে মৃতের সংখ্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।

নিউ ইয়র্ক সিটিতে গতকাল COVID-19 এ মৃত্যু এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা ছিল এক দিনে সর্বাধিক। গভর্ণর অ্যান্ড্রু কুমো বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় সেখানে এই ভাইরাসে ৫৬২ জন মারা গেছেন এবং এখন ঐ রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

XS
SM
MD
LG