মাত্র দেড় বছর আগেই ভারত সরকার বলেছিল, মানুষের স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার মানা যাবে না। কিন্তু বদলে গিয়েছে মতটা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার মেনে নেওয়ার সুপারিশ করবার পরেই এই মতবদল।
তবে কোনও কোনও দেশে যেমন চাইলে প্রাণঘাতী ইনজেকশন দিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীকে মেরে ফেলবারও বিধান রয়েছে, তা ভারতে গ্রহণ করা হবে না। যা হতে চলেছে তা হল, কোনও সুস্থ মানুষ আগাম ইচ্ছাপত্র তৈরি করে যেতে পারেন যে, আরোগ্যের সম্ভাবনা নেই, এমন রোগে তিনি ভুগতে থাকলে তাঁর ইচ্ছামৃত্যুর অধিকার যেন প্রয়োগ করা হয়। কিংবা, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত অবস্থাতেও তিনি নিজে এই ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারেন। বা তিনি নিজে এই ইচ্ছা প্রকাশে অক্ষম হয়ে পড়লে, তাঁর নিকট আত্মীয়রাও স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার প্রয়োগের অনুরোধ জানাতে পারবেন।
এই ইচ্ছামৃত্যু ঘটানো হবে রোগীকে জীবনদায়ী ঔষধ প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়ে অথবা বাঁচিয়ে রাখবার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ধীরে ধীরে খুলে নিয়ে। পৃথিবীর খুব কম দেশেই স্বেচ্ছামৃত্যুর অধিকার সরকার স্বীকার করে নেয়। একদিকে থাকে নৈতিক বাঁধা, অন্যদিকে এই অধিকার প্রয়োগে অপব্যবহারের আশঙ্কা। কলকাতা থেকে গৌতম গুপ্ত।