ভারতীয় সংবিধানের ডাইরেক্টিভ প্রিন্সিপল বা বাঞ্ছিত লক্ষ্যের অন্যতম হল ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত ভারতীয়ের জন্য অভিন্ন ব্যক্তিগত ও পারিবারিক আইন। ঠিক যেমন রয়েছে ফৌজদারি আইনের বেলায়। স্বাধীনতার প্রায় সাত দশক পরেও কেন তা সম্ভব হয়ে ওঠে নি, তা ব্যাখ্যা করে আইন মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত, তিনটি সমস্যা এর পথে প্রতিবন্ধক - বিচ্ছিন্নতার মানসিকতা, রক্ষণশীল মনোভাব এবং ব্যক্তিগত আইন সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা। এই আইনের আওতায় আসবে বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, উত্তরাধিকার এবং দত্তক গ্রহণ। সংবিধান প্রণেতাদের লক্ষ্যে পৌঁছনোর উদ্দেশ্যে আইন মন্ত্রক আইন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে, সমস্যাগুলি খুঁটিয়ে বিবেচনা করে সমাধানের পথ খুঁজে দেওয়া। মন্ত্রকের মত, জার্মানি, ইটালি, মিশর বা তুরস্কের মত বহু ধর্মের দেশে যদি অভিন্ন ব্যক্তিগত আইন থাকতে পারে ভারতেই-বা পারবে না কেন? সরকারের মত, অভিন্ন আইন থাকলে এক দিকে যেমন নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা যাবে, দেশে ধর্মীয় উত্তেজনাও কমানো সম্ভব হবে। দৃঢ়তর হবে সমাজের ঐক্য বন্ধন।