অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ভারতের ওষুধ কোম্পানি মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক পরীক্ষা শুরু করেছে


ভারতের গুজরাতে অবস্থিত ওষুধ কোম্পানি জাইডাস ক্যাডিলা আজ থেকে মানুষের শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক পরীক্ষা শুরু করলো। দু'দফায় এই পরীক্ষা চলবে দুটি দলে ভাগ করা স্বেচ্ছাসেবকদের ওপরে। এর জন্য হাজার দুয়েক স্বেচ্ছাসেবক ইতিমধ্যেই বাছাই করা হয়েছে। জাইডাস ক্যাডিলা সপ্তাহ দুয়েক আগে তাদের করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরি করার পর মানুষের শরীরে সেটি পরীক্ষা করে দেখার সরকারি অনুমতি পায়। তার আগে আর একটি ভারতীয় কোম্পানি ভারত বায়োটিক্স করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক কোভ্যাকসিন তৈরি করে সেটি মনুষ্য দেহে পরীক্ষার অনুমতি পেয়েছে। আপাতত এই দুটি প্রতিষেধক নিয়ে কাজ চলছে। ভারত বায়োটিক্সের টিকার কথা যখন থেকে শোনা গেছে তখন থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে আসছিলেন ১৫ই অগস্টের মধ্যে কোভ্যাকসিন যেন পাওয়া যায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলেছেন, টিকাটি এতদিন শুধুমাত্র জীবজন্তুর উপর পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। মানুষের শরীরে পরীক্ষা করে তার ফল বিচার করতে সময় লাগবে। এত তাড়াহুড়ো করে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণামূলক কাজ সম্ভব নয়, এ ভাবে একটা মারণ ভাইরাসের ওষুধ বের করে ফেলা যায় না। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশকে ছেলেমানুষি বলে বর্ণনা করেছে। বিরোধীরা বলেছেন, প্রতি বছর ১৫ই অগস্ট দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এবারে সেটা তো করতে পারবেন না, তাই ওই দিন ভার্চুয়াল সমাবেশে তিনি একটি চমক আনতে চান। আমাদের এই প্রধানমন্ত্রী বরাবরই চমকপ্রিয়। তাঁর এবারের চমক হবে করোনা ভাইরাসের টিকা চলে আসার ঘোষণা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি‌। আজ যে মানুষের শরীরে এই টিকা ব্যবহারের কাজ শুরু হয়েছে, জীবজন্তুর পরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে মানবদেহে, সেটাকেই অনেক বড় ঘটনা বলে ভারতের বৈজ্ঞানিক মহল মনে করছে। ওদিকে ভারতের বাইরে অনেকগুলো দেশেই এ নিয়ে গবেষণা চলছে। তার মধ্যে এখন অবধি সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে অক্সফোর্ডের একটি গবেষণা। প্রতিষেধক যেখানেই আবিষ্কার হোক, সমস্ত মানবজাতি তাতে উপকৃত হবে, এটাই সকলের আশা।

সরাসরি লিংক


XS
SM
MD
LG