ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোঁয়া ওলান্দ এখন ভারত গিয়ে পৌঁচেছেন, ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের উৎসবে, বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগদান উপলক্ষে।রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কলকাতা থেকে গৌতম গুপ্ত।
ভারত আর ফ্রান্সের পুরনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিবিড়তর হয়েছে নভেম্বরে প্যারিসে ও জানুয়ারিতে জঙ্গীহানার দুই ঘটনার পরে। প্রধানমন্ত্রি নরেন্দ্র মোদি রবিবার ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওলান্দকে চন্ডিগড় বিমানবন্দরে স্বাগত জানানোর সময় বলেন, প্যারিসে ১৩ নভেম্বরের জঙ্গী আক্রমণের কথা জেনেই তিনি স্থির করেন, এ বছরের ২৬ জানুয়ারির সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করা হবে ফ্রান্সের কোনও বিশিষ্ট মানুষকে। দুই দেশই মানবতার আদর্শে গভীর ভাবে আস্থাশীল। দুই দেশের পুরনো বন্ধুত্বে এ বার যোগ হল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের অঙ্গীকার। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা। ফ্রান্স থেকে ভারতের ৩৬টি র্যাফেল যুদ্ধবিমান কেনবার সিদ্ধান্ত আগেই ঘোষিত হয়েছে। ব্যয় হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। যে চন্ডিগড় শহরে এসে নামল ফরাসী প্রেসিডেন্টের বিমান, সেটির নকশা করেছিলেন প্রখ্যাত ফরাসী স্থপতি লে করভুযিয়ে মঙ্গলবারের কুচকাওয়াজে উপস্থিত থাকবার জন্য হল্যান্ডে ভারতে কাটাবেন তিন দিন। আরেকটি বিশেষ ঘটনা হল, কুচকাওয়াজে অংশ নেবে ফ্রান্সের সেনাবাহিনির ৩৫ তম রেজিমেন্ট। ওলান্দ জানিয়েছেন, ১৬০৪ সালে এই রেজিমেন্টের জন্ম। এরাই ১৭৮০-র দশকে ভারতে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে টিপু সুলতানের লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিল।