দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অসমে আবারও খুন দুই বাঙালি৷ গলা কেটে খুন করা হয়েছে তাঁদের৷ হাত কেটে নেওয়া হয়েছে আরও দু’জনের৷ মৃতদের একজনের নাম হামিদুল ইসলাম, বয়স ২৮৷ মৃত দু’জনই পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ৷ অনুমান করা হচ্ছে ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই দু’জনকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা৷
দেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থেকে অসমের তিনসুকিয়ার দুমদুমায় কাজের উদ্দেশ্যে গিয়েছিল সাত-আটজন শ্রমিকের একটি দল৷ সেই দলেরই সদস্য ছিলেন মৃত দুই শ্রমিক৷ সেখানে একটি আসবাব তৈরির কারখানায় কাজ করতেন এঁরা৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে তাঁদের সঙ্গে অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনের ঝামেলাও হয়৷ সম্ভবত টাকা-পয়সা নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা হয়৷ এরপর গতকাল গভীর রাতের দিকে হঠাৎই এদের উপর হামলা চালায় অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা৷ গলা কেটে খুন করা হয় হামিদুল ইসলাম ও আরও একজনকে৷ বাধা দিতে গেলে হাত কেটে দেওয়া হয় আরও দু’জনের৷ আজ রবিবার সকালে দুমদুমা থানা থেকে এই খুনের খবর জানানো হয় পাঁশকুড়া থানায়৷ এরপরই খবর দেওয়া হয় মৃতদের বাড়িতে৷ শোকে ভেঙে পড়ে তাঁদের পরিবার৷ অসমের প্রশাসনের সহায়তায় দ্রুত মৃতদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুমদুমা থানার পুলিশ৷ প্রসঙ্গত বলা যেতে পারে গত বছর অসমের তিনসুকিয়াতেই খুন করা হয় পাঁচ বাঙালিকে। নাগরিক পঞ্জি নিয়ে বিতর্কের মাঝে ওই পাঁচ বাঙালি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে অসম থেকে পশ্চিমবঙ্গ। ওই খুনের ঘটনার সঙ্গে উলফা জঙ্গী সংগঠনের র যোগ রয়েছে বলে প্রথমে অনুমান করা হয়। যদিও পরবর্তী সময় এই অভিযোগ অস্বীকার করে উলফার সংগঠন।