প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুদিনের পশ্চিমবঙ্গ সফরে গতকাল এবং আজ তার কর্মসূচির মধ্যে তিনি আজ সকালেই প্রথমে অংশ নেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সদর দপ্তর বেলুড়মঠে। আজ স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৭ তম জন্ম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত যুব দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে ভাষণ প্রসঙ্গ টেনে আনেন সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অর্থাৎ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএ এ এ। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বেলুড় মঠের মঞ্চে এমন রাজনৈতিক প্রসঙ্গ কেন? এই প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
আজ রবিবার স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে বেলুড় মঠের মঞ্চ থেকে ছাত্র সমাজের প্রতি বার্তা দিতে গিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রসঙ্গটি তোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । যুব দিবসের অনুষ্ঠানের ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভুল ধারণা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক তরুণ ভুল ধারণায় প্রভাবিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তরুণদের ঠিকমতো বোঝানো আমাদেরই দায়িত্ব। পাশাপাশি তাঁর যুক্তি, সরকার রাতারাতি নাগরিকত্ব আইন বানায়নি। প্রতিবেশী দেশের সংখ্যালঘু নাগরিকদের জন্য এই আইন। বেলুড়ে এদিন প্রধানমন্ত্রী ফের আশ্বাস দেন, নাগরিকত্ব আইনে কারও নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে না। তাঁর কটাক্ষ, মানুষ ঝলেও, রাজনীতির কারবারিরা তা বুঝতে পারছেন না।
বেলুড়মঠে আজকের যুব দিবসের ভাষণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজনৈতিক বক্তব্য খুব ভালভাবে গ্রহণ করতে পারেনি পড়ুয়াদের একাংশও বলে খবর। অন্যদিকে রাজ্যের রাজনৈতিক স্তরেও এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিরোধিতা। তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র, সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহঃ সেলিম – সকলেই একমত, বেলুড়কে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজের ছাপ রেখে গেলেন পশ্চিমবঙ্গে।